আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আল্লাহর ওয়াস্তে কিছু দাও বাবা! এভাবে ফুটপাতে, বাসে, ট্রামে, রাস্তায় ভিক্ষা চাওয়ার সময় বুঝি ফুরিয়ে এসেছে। এভাবেই হাত পেতে টাকা চাইতে নারাজ চীনা ভিক্ষুকরা। এক টাকা, দু’টাকা দিলে বা খুচরোর সমস্যার জন্য টাকা দিতে না পারলে, অনেকে সময় আমাদের দেশের ভিক্ষুকরা কোনো সময় বিরক্ত হয় বা পারলে দু-চারটে কথাও শুনিয়ে দেয়। কিন্তু চীনা ভিক্ষুকরা ঠিকই এসব সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে বের করেছেন।
চীনের অনেক ভিক্ষুকই আর নগদে ভিক্ষা নিচ্ছেন না। প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে রীতিমত তারা ক্যাশলেস লেনদেনের উপর ভরসা রাখছেন। পেটিএমের মতো অ্যাপের মাধ্যমে ভিক্ষা গ্রহণের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর এ নিয়ে প্রচণ্ড কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত কয়েকটি ছবিতে দেখা গিয়েছে চীনা ভিখারির গলায় ঝোলানো রয়েছে নির্দিষ্ট কিউআর কোডযুক্ত ব্যাজ। এবং সেই কোড স্ক্যান করে নিজের ইচ্ছামতো অর্থ ওই ভিখারির ই-ওয়ালেটে ট্রান্সফার করছেন ভিক্ষাদাতারা। সেক্ষেত্রে পোয়াতে হয় না কোনও নগদের ঝামেলা। পাশাপাশি, চটজলদি হচ্ছে লেনদেন।
চীনা ভিখারিরা ব্যবহার করছেন আলিবাবা কোম্পানির তৈরি আলি পে অ্যাপটি। অনেকে আবার ব্যবহার করছেন উইচ্যাট ওয়ালেট। সবক্ষেত্রেই ব্যবহারের নিয়ম একই। কিউআর কোড স্ক্যান করে ই-ওয়ালেটে জমা করতে হবে নির্দিষ্ট অর্থ। চীনা ভিখারিদের ভিক্ষা নেওয়ার এই অভিনব পদ্ধতিই মন কেড়েছে অনেকের। ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে ক্যাশলেস লেনদেনের যে প্রচার সমগ্র বিশ্বে হচ্ছে, সেদিকে চীন যে সবার আগে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে, এটা তারই এক জবরদস্ত উদাহরণ বটে।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।