স্যামসাং এর পর সবথেকে বেশি মোবাইল ফোন উৎপাদন করে রেকর্ড করেছিল হুয়াওয়ে। হুয়াওয়ে এমন এক টেক ব্র্যান্ড যারা স্যামসাং এবং অ্যাপলের সাথে সবসময় পাল্লা দিয়ে চলতে পারতো। ১৯৮৭ সালে চীনের টেলিকমিউনিকেশন সেবা অধুনিকায়ন করার জন্য হুয়াওয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।
শুরুর দিকে ছোট পরিসরে ব্যবসা করলেও পরবর্তী সময় মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ সহ অত্যাধুনিক টেক পণ্য মার্কেটে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়। স্যামসাং এর মতোই তাদের বড় রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্ট সেন্টার রয়েছে।
চায়নার পাবলিক লিবারেশন আর্মির সকল ধরনের গুরুত্বপূর্ণ টেলিকমিউনিকেশন সেবা প্রদান করে হুয়াওয়ে। আমেরিকা, ভারত, সুইজারল্যান্ড সহ অনেক দেশে তাদের রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্ট সেন্টার রয়েছে।
টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক নিয়ে গবেষণায় তারা দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করেছে। এক্ষেত্রে তাদের যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল এরিরকসন কোম্পানি। ২০১৮ সালে এক গবেষণায় দেখা যায় যে, মোবাইল ফোন উৎপাদনে তারা অ্যাপলকে পেছনে ফেলে দিতে সক্ষম হয়েছিল।
বর্তমানে হুয়াওয়ে প্রায় এক লক্ষ আশি হাজার কর্মী রয়েছে। চীনে যেসব স্টুডেন্ট টেকনোলজিতে ভাল পারফর্ম করে হুয়াওয়ে তাদের জন্য জব অফার করে। বিশ্বের অনেক গুরুত্বপূর্ণ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি এর উপর নির্ভর করে থাকে।
হুয়াওয়ে এর যেমন প্রশংসা করার মত অনেক সাফল্য রয়েছে তেমনি সমালোচনাও রয়েছে। যেমন গুরুত্বপূর্ণ প্রাইভেট তথ্য সরকারের কাছে পাচারের জন্য তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল।
এত সমালোচনা পরেও ব্র্যান্ডটি বেশ ভালোভাবে টিকে আছে। কেননা বিশ্বের অনেক কোম্পানি এটির ইকুইপমেন্টের উপর নির্ভর করে চলে। তাদের রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্ট সেন্টার নিয়মিত নতুন ইনোভেশন নিয়ে আসতে কাজ করে। হুয়াওয়ে মার্কেট হারালেও তাদের নতুন ইনোভেশন এবং বৈচিত্রতার কারণে এখনো বেশ ভালোভাবে টিকে আছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।