জুমবাংলা ডেস্ক : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে গত ২০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন স্থাপনায় চিকা মারা (দেয়াল লিখন), পোস্টার সাঁটানো, ব্যানার টাঙ্গানো, প্লে-কার্ড প্রদর্শন, লিফলেট বিতরণ বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন। কিন্তু এ ঘোষণার চার দিন পার হলেও শাটনট্রেনের বগিভিত্তিক সংগঠনগুলোর নামে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানকে ঢেকে রাখা ব্যানার পোস্টার, চিকা অপসারণ করতে দেখা যায়নি প্রশাসনকে। এ যেন নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই মানছে না প্রশাসন।
এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক সংগঠন নিষিদ্ধ করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে৷ বিজ্ঞপ্তিতে বগিভিত্তিক চিকা, টি-শার্ট, ব্যানার, পোস্টার লাগানো নিষিদ্ধ করে সংগঠনটির পক্ষ থেকে। জানা গেছে, চবিতে সিক্সটি নাইন, সিএফসি, ভিএক্স, বিজয়, একাকার, কনকর্ড, উল্কা, এপিটাফ, আর এস, বাংলার মুখসহ বিভিন্ন বগিভিত্তিক সংগঠন সক্রিয় রয়েছে।
চবি শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বর্তমানে যে সিদ্ধান্তই নিচ্ছে সেগুলো যেন কাগজে-কলমেই রয়ে যাচ্ছে। না হয় চার দিন আগে বিজ্ঞপ্তি দেয়ার পরও ব্যানার, পোস্টার, চিকা অপসারণ করলো না কেন? তারা আরো বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ শাটলট্রেনের বগিভিত্তিক সংগঠনগুলোর নামে চিকা, পোস্টারসহ সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নকে সহজ করে দিয়েছে। তবুও যদি প্রশাসন নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেরা বাস্তবায়ন না হলে তা হবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মেরুদণ্ডহীনতার বহিঃপ্রকাশ।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর রেজাউল করিম বলেন, ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। ব্যানার, পোস্টার, চিকা এসব দ্রুত অপসারণ করতে আমাদের চেষ্টা চলছে।
এদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বগি ভিত্তিক সংগঠন নিষিদ্ধ এবং বগির নামে চিকা, টি-শার্ট, ব্যানার, পোস্টার লাগানো নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক সংগঠনগুলোর নামে সংঘাতে বাধে ক্যাম্পাসে। রক্তারক্তির পাশাপাশি ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়া বগি দখলের নামে আধিপত্য বিস্তার নিয়েও হয়েছে সংঘর্ষ। এতে খর্ব হয়েছে ছাত্রলীগের সুনাম।
সম্প্রতি ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে শাটলট্রেনের বগিভিত্তিক বিভিন্ন গ্রুপ, উপগ্রুপ ক্যাম্পাসে চিকা, ব্যানার, পোস্টার সাটিয়েছে। জানা গেছে, শোডাউন দিতেও প্রস্তুতি নিয়েছে বগিভিত্তিক এসব গ্রুপ। ফলে দেখা দিয়েছে সংঘর্ষের আশংকা।
এসব পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সম্ভাব্য সংঘাত এড়াতে চবিতে ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে বগিভিত্তিক সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধের পাশাপাশি বগির নামে স্লোগান, দেয়ালে চিকামারা, টি-শার্ট, প্ল্যাকার্ড নিষিদ্ধ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল টিপু বলেন, শাটলট্রেনের বগিভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকায় বগির নামে স্লোগান, চিকা, পোস্টার, ব্যানার নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। আমরা এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়েছি। এখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি তা আমলে না নেয় আমাদের কি-বা করার থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।