জুমবাংলা ডেস্ক : নভেল করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে আগামী জুন পর্যন্ত ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে কতজনকে ত্রাণ দিতে হবে, সে সংখ্যা নিরূপণের পাশাপাশি কী পরিমাণ ত্রাণ লাগবে তা নির্ধারণে একটি কমিটি করেছে সরকার। গত সোমবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে এ কমিটি গঠন করে আদেশ জারি করা হয়েছে।
এদিকে সারা দেশের উপকারভোগীদের ডাটাবেজ তৈরি ও ৩৩৩ নম্বরে কল করে যে কেউ যাতে ত্রাণ ও খাদ্য সহায়তা চাইতে পারেন, সেজন্য সফটওয়্যার তৈরির লক্ষ্যে একটি ব্যবস্থাপনা এবং একটি কারিগরি কমিটি গঠন করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
উপকারভোগীর সংখ্যা নিরূপণে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আকরাম হোসনকে আহ্বায়ক করে ১১ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। ওই কমিটিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ও রওশন আরা বেগম এবং উপসচিব একেএম মারুফ হাসানকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।
বাকি সদস্যরা হলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. ইফতেখারুল ইসলাম ও হাবিবুল্লাহ বাহার, ত্রাণ সচিবের একান্ত সচিব শাব্বির আহমেদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. শাহজাহান এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রোগ্রামার মোহাম্মদ আব্দুল কাদের।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম ওই কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।
এছাড়া প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক এসএম হুমায়ূন রশিদ তরুণ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবেন বলে আদেশে জানানো হয়েছে।
সারা দেশে তালিকাভুক্ত উপকারভোগীদের এপ্রিল থেকে আগামী জুন পর্যন্ত ত্রাণ দিতে কী পরিমাণ চাল লাগবে, তা এ কমিটি নির্ধারণ করবে।
জানা গেছে, নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি কর্মহীনদের তাত্ক্ষণিক মানবিক সহায়তা দিতে সরকার আট দফায় ৬৪ জেলার জন্য ৪৭ কোটি ৩৫ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা ও ৯৪ হাজার ৬৬৭ টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।