জুমবাংলা ডেস্ক: প্রাইভেট পড়ার টাকা বাকি থাকায় এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে শিমুল নামে এক পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র কেড়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে শিক্ষার্থীর পিতা বকেয়া টাকা দিলে প্রবেশপত্র ফেরত দেন ওই শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টম্বর) শারীরিক ও কর্ম জীবনমূখি শিক্ষা বিষয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া পরীক্ষাকালে শিবগঞ্জ উপজেলার চাতরা দ্বিমূখি উচ্চ বিদ্যালয়ে। এ ঘটনার পর শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, শিবগঞ্জ উপজেলার চাতরা দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক গোলাম রাব্বানীর কাছে মাসিক ৩’শ টাকা বেতনে প্রাইভেট পড়তো একই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শিমুল। কিন্তু শিক্ষার্থী শিমুল প্রাইভেট পড়ার টাকা সময় মতো দিতে না পারায় এই ঘটনা ঘটান শিক্ষক গোলাম রাব্বানী।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ছাত্র শিমুল বলেন, আমি স্যারের কাছে ৩’শ টাকা মাসিক বেতনে ৬ মাস পড়ে আর যাইনি। এই ৬ মাসের টাকা মোট ১৮’শ টাকার মধ্যে ১৬’শ টাকা দিয়েছিলাম। বাকি ২’শ টাকা পরে দেয়ার কথা ছিলো, কিন্তু স্যার আমাকে বলে আমার কাছে তিনি ৩ হাজার ৩’শ টাকা পাবেন। এমন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার সকালে আমার বিদ্যালয়ে শারীরিক ও কর্মজীবনমূখী শিক্ষা বিষয়ে পরীক্ষা দিতে গেলে তিনি ওই টাকার জন্য পরীক্ষা চলাকালীন সময় আমার কাছে এসে প্রবেশপত্র কেড়ে নিয়ে আমার পিতাকে ডাকতে বলেন। পরীক্ষা শেষ করে আমি আমার পিতাকে ফোন করে বিদ্যালয়ে আসতে বললে তিনি আসেন এবং শিক্ষক গোলাম রাব্বানীকে টাকা পরিশোধ করলে তিনি প্রবেশপত্র ফেরত দেন।
এদিকে সহকারী শিক্ষক গোলাম রাব্বানীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এধরণের কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে চাতরা দ্বিমূখি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে কোন শিক্ষক প্রাইভেট পড়াতে পারে না। কিন্তু আমার বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক গোলাম রাব্বানী কেনো প্রাইভেট পড়াচ্ছে তা বলতে পারবো না। তবে তিনি গত বৃহষ্পতিবার যে ঘটনাটি ঘটিয়েছেন তা সম্পূর্ণভাবে ভুল করেছেন। আর আমিও শিক্ষক হয়ে হতবাক হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, লেনদেনের বিষয় থাকলে তারা আলাদাভাবে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করতে পারতো। কিন্তু আমার অগোচরে তিনি শিক্ষক হয়ে এধরনের কাজ করবেন তা ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে। পরে বিষয়টি নিয়ে উভয়পক্ষকে আমার অফিসে বসে সমাধান করা হয়েছে এবং শিক্ষক গোলাম রাব্বানীকে সতর্ক করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর মুস্তাফিজুর রহমান জানান, চাতরা দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রবেশপত্র কেড়ে নেয়ার বিষয়টি তার জানা নেই। তবে কেউ অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।