প্রাণের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হলো পানি। আমাদের প্রতিটি কোষের বিশাল একটি অংশ পানির দখলে। ধারণা করা হয়, প্রাণের উৎপত্তিও হয়েছে পানিতে। সবচেয়ে বড় কথা, পানি ছাড়া আমরা এতই অসহায় যে, এ নিয়ে একটি প্রবাদবাক্যই তৈরি হয়ে গেছে। পানির অপর নাম জীবন।
এর বিকল্প আর কিছু বিজ্ঞানীরা আজও ‘ভেবেই’ বের করতে পারেননি। বাস্তবে বের করতে পারা তো আরও দূরের কথা! তাদের হিসাবে, পানিবিহীন রুক্ষ, শুষ্ক কোনো গ্রহে প্রাণের বিকাশ ঘটা সম্ভব নয়। তবে বরফাচ্ছাদিত কোনো গ্রহে প্রাণের বিকাশ হলেও হতে পারে! কারণ, জমাট বরফের আবরণের নিচে পানি তরল অবস্থায় থাকতে পারে। হতে পারে, সেই পানিতেই জন্ম নিয়েছে প্রাণ। তবে তারা যদি বরফের আবরণ ভেঙে বেরিয়ে আসতেই না পারে, তাহলে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করা তাদের জন্য বেশ কঠিন হবে বৈকি!
এসব কিছুই কেবল সম্ভাবনা। তবে কোনো কিছু আবিষ্কৃত হওয়ার আগ পর্যন্ত তা কিন্তু সম্ভাবনাই থাকে। আবিষ্কৃত হওয়ার পরেই কেবল সেটা হয়ে ওঠে নিখাদ বাস্তব। এ নিয়ে শুরুতেই বলেছি। প্রকৃতি তার পরতে পরতে কী লুকিয়ে রেখেছে, তার বেশির ভাগটাই আমরা আজও জানি না।
মহাবিশ্বের ইতিহাস হলো প্রায় ১৪ বিলিয়ন বছরের ইতিহাস। আর আমাদের জ্ঞান-বিজ্ঞানের পুরো বিপ্লবটুকু হয়েছে মোটামুটি গত দুই শ বছরে। এই দুই শ বছরের মধ্যেই আমরা আবিষ্কার করেছি, মিল্কিওয়ের এক পাশে, ছোট্ট বিন্দুসম এক গ্রহে আমাদের বাস। আবিষ্কার করেছি, মিল্কিওয়ের বাইরে আরো শত-সহস্র গ্যালাক্সি ক্লাস্টার আছে। কৃষ্ণগহ্বর, গুপ্তবস্তু, এমনকি প্রতিপদার্থের মতো বিচিত্র জিনিসও আছে আমাদের এই মহাবিশ্বে। আর এই মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতেই প্রাণের বসবাস উপযোগী গ্রহ আছে প্রায় ৬০ বিলিয়ন!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।