জুমবাংলা ডেস্ক: মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দেশের সব ধরনের সরকারি, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনের চলমান ছুটি আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুন) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রবীন্দ্রনাথ রায় স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এসময় নিজেদের ও অন্যদের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা নিজ বাসস্থানে অবস্থান করবে।
পাশাপাশি অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞতিতে আরও জানানো হয়, প্রাধনমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কর্তৃক সময়ে সময়ে জারিকৃত নির্দেশনা ও অনুশাসনসমূহ শিক্ষার্থীদের মেনে চলতে হবে। শিক্ষার্থীদের বাসস্থানে অবস্থানের বিষয়টি অভিভাবকরা নিশ্চিত করবেন এবং স্থানীয় প্রশাসন তা নিবিড়ভাবে পরিবীক্ষণ করবেন।
সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা তাদের শিক্ষার্থীরা যাতে বাসস্থানে অবস্থান করে নিজ নিজ পাঠ্যবই অধ্যয়ন করে সে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের মাধ্যমে নিশ্চিত করবেন।
এদিকে, এদিন শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এক নোটিশ দিয়ে জানানো হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ইবতেদায়ি ও কওমি মাদ্রাসার চলমান ছুটি আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
সারা দেশে করোনা পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ায় ও কঠোর লকডাউন কার্যকর থাকায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তা বিবেচনায় এবং কোভিড ১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে পরামর্শক্রমে এ ছুটি বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুন) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে জাতীয় সংসদে আসন্ন ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। টিকা কার্যক্রম সম্পন্ন হলে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে। আর করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে।
করোনায় দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের কষ্ট হচ্ছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদান ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রম সম্পন্ন হলে আমরা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে সক্ষম হব। কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল-মাদ্রাসা খুলে দেওয়া হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা স্কুল থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষায় যারা আছে, সবাইকে যেন ভ্যাকসিন পর্যায়ে আনতে পারি এবং দ্রুত যেন আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে পারি, সেই ব্যবস্থাটা আমরা নেব।’
এরআগে গতকাল সোমবার (২৮ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, মাঝে করোনার প্রকোপ কমে গিয়েছিল। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা এসেছিল। কিন্তু এখন প্রকোপ আবার বেড়ে গেছে। তাই আপাতত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত আর আসছে না। ছুটি কত দিন বাড়বে সে সিদ্ধান্ত সরকারের গঠিত পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



