প্রাথমিক শিক্ষকদের অনেক দিনের লালিত স্বপ্ন নিজেদের মালিকানায় একটি স্বতন্ত্র ব্যাংক থাকবে। যা নিয়ে শিক্ষকদের বিভিন্ন ফেসবুকে গ্রুপে অনেক লেখালেখি এর আগেও লক্ষ্য করা গেছে। এবার যেনো শিক্ষকদের সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়নে রূপ দেয়ার পথ দেখালেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
মঙ্গলবার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে শিক্ষকদের চিকিৎসা ভাতা ও উচ্চশিক্ষা বৃত্তির চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, শিক্ষকদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়তে পারে। প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার চাকরিজীবীদের মধ্যে সর্ববৃহৎ। শিক্ষকরা ইচ্ছা করলে কল্যাণ ট্রাস্টকে অনেক বড় করে ফেলতে পারে। আপনাদের সামান্য টাকা একত্রিত করতে পারলে অনেক বিশাল তহবিল হবে। আপনারা ইচ্ছা করলে একটা ব্যাংক তৈরি করে ফেলতে পারেন, একটা প্রাথমিক ব্যাংক। ভালো হাসপাতাল তৈরি করে ফেলতে পারেন আপনারা।
প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার সেনাবাহিনীর থেকে বড় উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ৫ লাখ এ পরিবারের সদস্য। যা সেনাবাহিনীর থেকে বড়। সরকারি চাকরিজীবীদের এক করলে প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার এক তৃতীয়াংশ। সবাই ১ হাজার করে টাকা দেন। ৫ লাখ হাজার টাকায় ব্যাংকের মূলধন হয়ে থাকবে।
সব সংস্থা ও বাহিনীর ব্যাংক আছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদের কেন প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের অপেক্ষায় থাকতে হবে। শিক্ষকরা নিজেদের ব্যাংকের টাকা দিয়ে নিজেরা উপবৃত্তি-অনুদান- সহায়তা দিতে পারতেন। আমরা কেন অপেক্ষা করবো অনুদানের লাভ পাওয়ার আর সে টাকায় বিপদগ্রস্ত শিক্ষকদের সহযোগিতা করার।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহাম্মদ মনসরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও অংশ নেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদসহ কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্যরা।
অনুষ্ঠানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে ৭৯০ জন শিক্ষককে চিকিৎসা ভাতা ও উচ্চশিক্ষা বৃত্তির চেক দেয়া হয়। ২০ জন শিক্ষক সরাসরি প্রতিমন্ত্রীর হাত থেকে চেক বুঝে নেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।