জুমবাংলা ডেস্ক: অনলাইনে ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষক বদলি কার্যক্রম শুরু করতে দেরি হয়ে গেছে জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকদের বদলির বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেব। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। ডিজিটাল ও গতানুগতিক পদ্ধতিতে এবার শিক্ষকদের বদলি প্রক্রিয়া মার্চের মধ্যে শুরু করব।’
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।
প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার বিষয়ে আরও দুই সপ্তাহ পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তবে এ সময়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান চলবে অনলাইনে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, দেশে মাধ্যমিক পর্যায়ে মোট শিক্ষার্থী প্রায় এক কোটি ২৮ লাখ। তাদের মধ্যে ২৬ লাখ ৫৭ হাজার শিক্ষার্থী প্রথম ডোজের টিকা পেয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ৩৪ লাখ ৫০ হাজার শিক্ষার্থী। এছাড়া আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রথম ডোজ পাওয়া শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় ডোজের আওতায় আনা হবে। এ সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা টিকা নেননি তাদের টিকা নিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রাথমিকে পাঠদান শুরুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত আরও দু’সপ্তাহ পর নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের পাঠদানের সময়সূচি ঠিক করে নেবে। তবে ২২ তারিখ থেকেই শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চালু করতে পারবে। যেসব শিক্ষার্থীর দুই ডোজ টিকা নেয়া আছে, তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বশরীরে ক্লাশে অংশ নিতে পারবে।
উল্লেখ্য, অনলাইন বদলি নীতিমালা তৈরি করে অনলাইনে শিক্ষকদের বদলি প্রক্রিয়া শুরু করতে দুই বছর আগে শিক্ষক বদলি বন্ধ রাখা হয়। ২০২০ সালের শুরুতে অনলাইনে শিক্ষক বদলি শুরু করার কথা থাকলেও তা হয়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।