আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আজ প্রায় পাঁচ বছর পর জুমার নামাজে ইমামতি করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। খুতবায় রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য।
তেহরানে খামেনিকে এক পলক দেখার জন্য ও তার বক্তব্য শোনার জন্য হাজারো মানুষ জমায়েত হয়। প্রায় পাঁচ বছর পর জুমার নামাজে খুতবা দেন তিনি।
আজ শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
উপস্থিত জনতার উদ্দেশে খামেনি বলেন, ‘আমাদের শত্রু বিভাজন ও রাষ্ট্রদ্রোহের বীজ বপন করার কৌশল হাতে নিয়েছে। তারা চায় মুসলমানরা একে অপরের বিরুদ্ধে লড়ুক। কিন্তু তারা ফিলিস্তিনি, লেবানিজ, মিসরীয় ও ইরাকি—সবারই শত্রু তারা। তারা ইয়েমেন ও সিরিয়ার মানুষেরও শত্রু।
‘আমাদের শত্রু এক ও অভিন্ন’, বলেন তিনি।
খামেনি আরও বলেন, প্রতিটি দেশের শত্রুর হাত থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করার অধিকার আছে।
মুসলিম দেশগুলোকে ‘তাদের অভিন্ন শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে’, বলেন তিনি।
‘বৈধ ও সঙ্গত’ কারণেই ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাস ও সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েল ইরান ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে মত দেন খামেনি।
উল্লসিত জনতার উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি দেশের, প্রতিটি নাগরিকের এই চূড়ান্ত পর্যায়ের অত্যাচারীর বিরুদ্ধে নিজেদের রক্ষা করার অধিকার রয়েছে।’
খামেনি বলেছেন, ইসরায়েলের মোকাবিলায় ইরান ‘হাত পা গুটিয়ে বসে থাকবে না বা দায়িত্ব পালনে তাড়াহুড়াও করবে না না’।
শুক্রবারের খুতবায় খামেনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের নিজেদেরকে সুরক্ষা দেওয়ার আইনি অধিকার রয়েছে। এই অপরাধীদের, এই ভূমি অধিগ্রহণকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অধিকার আছে তাদের। নিজেদের মাতৃভূমিকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য ফিলিস্তিনিদেরকে কোনো আদালত বা আন্তর্জাতিক সংস্থা দোষারোপ করতে পারবে না।’
এর আগে জানা যায়, ইসরায়েলে ইরানের ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর তেহরানের পরবর্তী পরিকল্পনার বিষয়ে খুতবায় আলোকপাত করতে পারেন খামেনি।
প্রায় পাঁচ বছরের মধ্যে এই প্রথম জুমার খুতবা দিয়েছেন খামেনি। ফিলিস্তিনের গাজায় হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের এক বছর পূর্ণ হওয়ার তিন দিন আগে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা এই খুতবা দেন।
তিনি রাজধানী তেহরানের ইমাম খোমেনি গ্র্যান্ড মোসাল্লা মসজিদে জুমার নামাজের ইমামতি করেন।
আমরা বৈষম্যহীন ‘কল্যাণ রাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠা করতে চাই : জামায়াত আমির
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।