প্রিন্স হ্যারি ব্রিটিশ রাজ পরিবারের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তিনি রাজা তৃতীয় চার্লসের পুত্র এবং সাসেক্সের ডিউক। তার স্ত্রী অভিনেত্রী মেঘানকে সাথে নিয়ে অনেক জনদরদী সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা এবং তাদের সহযোগিতা করা নিয়ে অসামান্য অবদান রেখেছেন।
মেঘান এর সাথে যখন তিনি ডেটিং করতেন তখন থেকে অনেক সমাজসেবামূলক সংগঠনের দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি বড় অঙ্কের ফান্ড তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। ফান্ডের অর্থ অসুস্থ, পঙ্গু ও দুর্বল মানুষদের সাহায্য করার জন্য ব্যয় করা হয়।
হ্যারি এবং তার স্ত্রী মেঘান মনে করেন যে অন্যদের সহযোগিতা করা সবসময় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তারা তাদের জীবনের এক মূল্যবান সময় শুধু চ্যারিটি সংগঠনের পেছনে ব্যয় করেছেন।
এই দম্পতি মানুষ এবং সমাজের নানা সমস্যার সমাধান করে এবং জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসার উপর গুরুত্ব দেন। ২০২০ সালে হ্যারি আর্কওয়েল নামে একটি অলাভজনক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। এই সংগঠনের উদ্দেশ্য হচ্ছে সব ধরনের কমিউনিটির মধ্যে ইতিবাচক সাংস্কৃতিক পরিবর্তন নিয়ে আসা।
তিনি একই সময়ে ক্যালিফোর্নিয়ায় আরও একটি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব নেন। ওই ফাউন্ডেশন এর কাজ হচ্ছে যারা গৃহহীন তাদের সব ধরনের সাহায্য করা। তাদের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়া।
২০২১ সালে হ্যারি এবং মেঘান জিনিয়াস ওমেন শেল্টার নামক সংগঠনে প্রচুর অর্থ দান করেন। আমেরিকার ডেলাস এবং টেক্সাসে বিপদে পড়া মানুষদের সহায়তার জন্য এ সংগঠন কাজ করে।
এমনকি ক্যারিবিয়ান অঞ্চলেও তাদের সমাজ সেবামূলক সংগঠন সক্রিয় রয়েছে। ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন নামক একটি ফাউন্ডেশন এর দায়িত্বে তারা রয়েছেন। এই ফাউন্ডেশনের কাজ হচ্ছে স্কুলের বাচ্চাদের জন্য খাবার রান্না করা এবং রান্নার ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ করা। মানুষকে রান্না শেখানো এবং ট্রেনিং দেওয়া তাদের অন্যতম উদ্দেশ্য।
ব্রিটিশ রাজ পরিবারের এ দম্পতি সমাজ সেবামূলক সংগঠনের পেছনে তাদের গুরুত্বপূর্ণ সময় ব্যয় করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।