প্রেম অস্বীকার করলো পুলিশ সদস্য, অভিমানে কিশোরীর বিষপান

জুমবাংলা ডেস্ক : পুলিশের এক কনস্টেবল প্রেম অস্বীকার করায় বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে এক কিশোরী। বুধবার (৮ জুলাই) দুপুরে মুমূর্ষু অবস্থায় ১৬ বছরের ওই কিশোরীকে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

শেখরনগর গ্রামের নিজ বাড়িতেতে ঐ কিশোরী আত্মহত্যার চেষ্টা করে। কিশোরী জানায়, সে সিরাজদিখান উপজেলার শেখরনগর রায় বাহাদুর ইন্সটিটিউশনের দশম শ্রেণির ছাত্রী। শেখরনগর পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল জুলহাস তাকে প্রেম নিবেদন করে তার সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে।

জুলহাস তাকে বিয়ের আশ্বাস বিভিন্ন সময় ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করে। দেড় বছর ধরে তাদের এই সম্পর্ক চলে আসছিল। জুলহাস হঠাৎ বদলি হয়ে মুন্সিগঞ্জ পুলিশ লাইনে চলে যায় এবং তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। ঐ কিশোরী শেখরনগর পুলিশ ফাঁড়িতে বিচার নিয়ে গেলে সেখানে কর্মরত এএসআই আঃ হামিদ তাকে বিষয়টি পুলিশ সুপারকে জানাতে বলেন। সে মঙ্গলবার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়ে হতাশ হয়ে ফিরে আসেন।

পরে বুধবার দুপুরে সে শেখরনগর থেকে শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের সামনে এসে ইঁদুর মারার ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ঐ কিশোরী আরও জানায়, কনস্টেবল জুলহাসের বাড়ি সাভারের ধামরাইয়ে। সে বর্তমানে ছুটিতে রয়েছে।

এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে কনস্টেবল জুলহাস জানান, তাকে ঐ কিশোরী ফোনে বিরক্ত করতো। ঐ কিশোরীর সাথে তার কোন প্রেমের সম্পর্ক নেই। শেখরনগর ফাঁড়ি পুলিশের এক কর্মকর্তার বুদ্ধিতে সে এমন করছে।

এ ব্যাপারে মুন্সিগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজ আফজাল জানান, মেয়েটি মঙ্গলবার আমার কাছে এসেছিল। সে দশম শ্রেণির ছাত্রী। আমাদের শিশু ও নারী বান্ধব কর্মকর্তা এএসআই মুক্তার সামনে তার অভিযোগ শুনি। কিন্তু সে তার বাবা-মার নাম জানাতে পারেনি। খালার কাছে থাকলেও খালা শিক্ষকতা করে জানালেও কোথায় শিক্ষকতা করে তা জানাতে পারেনি। তার কথা আমরা প্রায় দেড়-দুই ঘণ্টা ধরে ধৈর্য সহকারে শুনেছি। যেহেতু সে অপ্রাপ্ত বয়স্ক এবং অসংলগ্ন কথা বার্তা বলছিল। তাই বুধবার তার অভিভাবকে সাথে নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ারও প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। তাকে প্রত্যাখ্যানের অভিযোগটি সঠিক নয়। এছাড়া তার আত্মহত্যার চেষ্টার কথা শুনে আমাদের শ্রীনগর থানা পুলিশ সেখানে ছুটে গিয়ে দ্রুত তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। তার কাছে পুলিশ বাবা-মার নাম্বার চাইলেও সে দিতে পারেনি।