জুমবাংলা ডেস্ক : কুষ্টিয়ায় ভেড়ামারায় প্রেমিককে হত্যার দায়ে প্রেমিকা শিখা খাতুনকে আমৃত্যু ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত।
বুধবার দুপুরের দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় দন্ডপ্রাপ্ত এক আসামি ছাড়া বাকি সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আমৃত্যু কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামি শিখা খাতুন জেলার দৌলতপুর উপজেলার ভুরকাপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে।
যাবজ্জীবন দন্ডাদেশপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি হচ্ছেন দৌলতপুর উপজেলার ভুরকাপাড়া গ্রামের মৃত জলিল সরদারের ছেলে আব্দুল মান্নান (৬০), মান্নানের ছোট ভাই সাদু সরদার (৪৬), একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সাজুল সরদার (৪৫) মৃত শওকত সরদারের ছেলে বজলু সরদার ওরফে বজু (৪৮) এবং রাজন আলীর স্ত্রী আজমিরা খাতুন (৩২)।
কুষ্টিয়া জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামি শিখার সঙ্গে ভেড়ামারা উপজেলার জুনায়াদহ খন্দকার পাড়া এলাকার মীর শহীদুলের ছেলে রায়হানের (২৬) প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
তাদের এ সম্পর্ক শিখার পরিবার মেনে না নেয়ায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে ২০১৬ সালের ৬ অক্টোবর রাতে রায়হানকে ফোন করে বাসায় ডেকে নিয়ে আসেন শিখা। ওই রাতেই আসামিরা রায়হানকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে হত্যা করে লাশ গুম করে রাখে।
পরদিন ৭ অক্টোবর ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদহ পালপাড়া এলাকা থেকে পুলিশ রায়হানের লাশ উদ্ধার করে। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৯ অক্টোবর নিহতের পিতা মীর শহীদুল আসামিদের বিরুদ্ধে ভেড়ামারা থানায় এজাহার দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করলে স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ধার্য দিনে বুধবার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।