গাজীপুরে পরকীয়া প্রেমিককে নিয়ে ঘুমন্ত স্বামীকে হত্যার পর করাত দিয়ে হাত-পা, মাথা বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ উঠেছে এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় প্রেমিকসহ ওই গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া হত্যায় ব্যবহৃত চাপাতি ও করাত উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (৩০ মে) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত ব্যক্তির নাম সুমন মোল্লা (২৮)। তিনি বাগেরহাটের চিতলমারী থানার বরননী বাজার গ্রামের জাফর মোল্লার ছেলে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- নিহতের স্ত্রী আরিফা বেগমকে (২৮) ও তার পরকীয়া প্রেমিক তনয় সরকার (৩১)।
জিজ্ঞাসাবাদে আরিফা ও তনয় পুলিশকে জানিয়েছে, আরিফার সঙ্গে দীর্ঘদিনের পরকীয় প্রেমের সম্পর্ক তনয়ের। বিষয়টি নিয়ে সুমন প্রায়ই আরিফাকে মারধর করতেন। এ ঘটনার জেরেই সুমনকে হত্যার পরিকল্পনা করে তারা দু’জন। চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০ দিকে সুমনকে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান আরিফা। পরে তনয়কে ফোন করে ডেকে এনে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে সুমনকে হত্যা করেন তারা।
এখানেই শেষ নয়, ২০ এপ্রিল করাত দিয়ে মাথা, দুই হাত, দুই পা বিচ্ছিন্ন করে এবং চাপাতি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ টুকরো টুকরো করে তারা। পরে নিহতের হাত, পা, মাথাবিহীন শরীর আরিফার ব্যবহৃত কাথা দিয়ে বেঁধে পার্শ্ববর্তী তেঁতুইবাড়ী এলাকার একটি ময়লার স্তূপে ফেলে দেয়া হয়।
চলতি বছরের ২১ এপ্রিল কাশিরপুর থানাধীন সারদাগঞ্জ হাজি মার্কেট পুকুরপাড় এলাকায় সেপটিক ট্যাংক থেকে সুমনের হাত, পা মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ২২ এপ্রিল কাশিমপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে বিভিন্ন জায়গা অভিযান চালিয়ে তনয় ও আরিফাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।