জুমবাংলা ডেস্ক : চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় মাথাভাঙ্গা নদী থেকে মিম খানম নামে এক কলেজ ছাত্রীর কঙ্কালের খুলি ও হাড় উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার বাড়ি কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার পিপুলবাড়িয়া গ্রামে। গত শনিবার বিকেল ৫টার দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অবস্থায় ওই কঙ্কালের খুলি ও হাড় উদ্ধার করে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ। আজ রোববার (২২ নভেম্বর) দুপুরে কঙ্কালের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া ভ্যানেটি ব্যাগ ও পরনের কাপড় দেখে কঙ্কালটি নিহত মিমের বলে জানান তার বাবা মধু খান।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার বিকেলে দামুড়হুদার উজিরপুর গ্রামের কওমী মাদ্রাসার পিছনে মাথাভাঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়ে নদীর তীরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মানুষের মাথার খুলি ও হাড় দেখতে পান একই গ্রামের জনৈক এক ব্যক্তি। মূহুর্তেই ওই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। পরে দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী ঘটনাস্থলে গিয়ে মাথার খুঁলি ও হাড় গোড় দেখে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশে খবর দেন।খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মাথার খুলি ও হাড় উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারকৃত কঙ্কালটির পাশে পড়ে থাকা ভ্যানেটি ব্যাগ, পরিধেয় কাপড় চোপড় ও জেএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট দেখে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার পিপুলবাড়িয়া গ্রামের মধু খানের মেয়ে কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী মিম খানমের কঙ্কাল বলে নিশ্চিত করে পুলিশ। পরে আজ দুপুরে উদ্ধার হওয়া আলামত দেখে কঙ্কালটি নিহত মিমের বলে শনাক্ত করে তার পরিবার।
নিহত মিমের বাবা মধু খান জানান, মাস তিনেক আগে প্রেমের সম্পর্কের কারণে একই এলাকার একটি ছেলের সাথে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় মিম। এই ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছে কলেজ ছাত্রী মিম। সে আমলা সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক জানান, উজিরপুর গ্রামস্থ মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কঙ্কালের হাড় ও মাথার খুলি উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত কঙ্কালের অংশ বিশেষ পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই ঘটনায় বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। আলামতের সূত্র ধরে হত্যাকারীদের আটক করতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।