জুমবাংলা ডেস্ক : নওগাঁয় প্রেমের ফাঁদে ফেলে বাসায় ডেকে নিয়ে এসে আপত্তিকর ছবি তুলে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চাঁদা আদায়ের ঘটনায় একই চক্রের ৭ প্রতারককে গ্রেফতার করেছে নওগাঁ সদর মডেল থানা পুলিশ।
আজ রোববার দুপুরে নওগাঁ সদর মডেল থানায় পুলিশ সুপার প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল মান্নান মিয়া চাঞ্চল্যকর সব তথ্য তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। এদিন বিকেলেই গ্রেপ্তারকৃত ৭ জনকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান- নওগাঁ শহরের বাঙ্গাবাড়িয়া মহল্লার বাসিন্দা মোঃ টিটু’র বাসার ভাড়াটিয়া বুলবুলি বেগম (২৩) মোবাইল ফোনে বিভিন্ন যুবকের সাথে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তোলেন। এরপরে ওই তরুণী কৌশলে ভাড়া বাসায় ডেকে নিয়ে এসে ওই যুবকদের বিবস্ত্র করে ছবি তুলে তা ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে আসছিল। এতে তাকে সহযোগীতা করতো কতিপয় যুবক।
এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার দুপুরে আত্রাই থানার বান্দাইখাড়া বাজার এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে মোঃ নাসির উদ্দিনকে ওই বাসায় ডেকে নিয়ে আটকে রাখে। এসময় তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে ধারালো চাকু দিয়ে হত্যার হুমকি দিতে থাকে। একইসঙ্গে ওই যুবককে বিবস্ত্র করে সেই ছবি তোলে ওই চক্রের লোকজন। পরে তাকে জিম্মি করে নাসির উদ্দিনের নিকট ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে চক্রটি।
এ অবস্থায় নাসির উদ্দিন তার পরিবারের সাথে আলোচনা করে পুলিশকে জানায়। পুলিশ সুপার বিষয়টি অবগত হওয়ার পরেই তার নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রকিবুল আকতার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদ, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সোহরাওয়ার্দী হোসেন ও ওসি (তদন্ত) ফয়সাল বিন আহসানসহ পুলিশ ফোর্স নিয়ে শনিবার বিকালে বুলবুলি বেগমের ভাড়া বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ।
এসময় পুলিশ প্রেমের ফাঁদে ফেলে চাঁদাবাজি চক্রের সদস্য জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলাধীন সরস্বতীপুর পুকুরপাড় গ্রামের মোঃ বুলু’র কন্যা বুলবুলি (২৩), নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলাধীন মধু গুড়নই গ্রামের ইউসুফ শেখ-এর ছেলে মোঃ বাহাদুর শেখ ৩৮), তার স্ত্রী মোছাঃ মুক্তা (৩৮), চকবাড়িয়া বাউস্থাপাড়া গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে মোঃ ইদ্রিস আলী (৪৫), কাশিয়াপাড়া গ্রামের মোঃ আজিজুল হাকিমের ছেলে মোঃ আল আমিন (৩২), নবারের তাম্বু গ্রামের নুরুল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ মুন্নি বিবি (২৮) এবং সদর উপজেলার বাচাড়ীগ্রাম সোনার পাড়ার মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে মোঃ এনামুল হককে গ্রেফতার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন- প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা দীর্ঘদিন ধরে এই তৎপরতা চালিয়ে আসছে বলে তারা স্বীকার করেছে। এই ঘটনায় মোঃ নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে ওই ৭ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়- জনৈক মোঃ তাহসিন ইসলাম খানের অভিযোগ অনুযায়ী তার চুরি যাওয়া একটি ল্যাপটপ এবং একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার এবং এর সঙ্গে জড়িত আসামি জেলার মান্দা উপজেলার জামদই গ্রামের মৃত আজির মন্ডলের পুত্র মোঃ শরিফুল ইসলামকে (২২) গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানানো হয়। গত ১৯ নভেম্বর রাতে এসব বাদীর বাড়ি থেকে চুরি যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।