Close Menu
iNews World
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
iNews World
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
iNews World
Home প্লাস চিহ্নযুক্ত নম্বর থেকে ফোন আসলেই বিপদ
জাতীয়

প্লাস চিহ্নযুক্ত নম্বর থেকে ফোন আসলেই বিপদ

Shamim RezaJune 7, 20203 Mins Read
Advertisement

জুমবাংলা ডেস্ক : প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে প্রতারণাও বাড়ে। যেমন বিভিন্ন ব্যাংকের কাস্টমার কেয়ারের নম্বর ক্লোন করে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে একটি চক্র। কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে অর্থও। প্রতারক আর ব্যাংকের কাস্টমার কেয়ারের নম্বর এক হলেও প্রতারকদের কলের ক্ষেত্রে সাধারণত নম্বরের আগে ‘প্লাস চিহ্ন’ থাকে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। প্রতারণা এড়াতে এসব নম্বর থেকে সাবধান থাকতে বলছে তারা, না-হলেই পড়তে হবে বিপদে।

গতকাল শনিবার রাতে রাজধানী ঢাকা এবং ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকায় যৌথ অভিযানে প্রতারক চক্রের ১৩ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানানো হয়।

র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে মানুষের বাইরে যাওয়া এড়াতে মোবাইল ব্যাংকিং কিংবা ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন বেড়েছে। এ সুযোগটি কাজে লাগিয়েছে প্রতারকচক্র। বেশকিছু অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে এই চক্রের ১৩ সদস্যকে আটক করা হয়, যারা প্রত্যেকেই প্রাথমিকভাবে এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।’

আটকরা হলেন- নাজমুল জমাদ্দার (১৯), হাসান মীর (১৮), ইব্রাহিম মীর (১৮), তৌহিদ হাওলাদার (২৩), মোহন শিকদার (৩০), পারভেজ মীর (১৮), সোহেল মোল্যা (২৬), দেলোয়ার হোসেন (৩৫), সৈয়দ হাওলাদার (২০), রাকিব হোসেন (২৪), মোহাম্মদ আলী মিয়া (২৬), পলাশ তালুকদার (৩৪) ও ইমন (২৫)। তাদের কাছ থেকে ১৪ লাখ ৮৩ হাজার ৪৬২ টাকা, ৩১টি মোবাইল ফোন, দুটি ল্যাপটপ, দুটি ট্যাব, ১২০টি সিম, একটি রাউটার এবং একটি টিভি কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।

আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি জানান, একজন মাস্টারমাইন্ডের অধীনে ৩০-৩৫ জন সদস্য কাজ করেন। সাধারণত পাঁচটি গ্রুপে ভাগ হয়ে এ কার্যক্রম সম্পন্ন করে চক্রটি। প্রথমত, চক্রের ‘হান্টার টিমের’ সদস্যরা মাঠপর্যায়ে গ্রাহকদের তথ্য সরবরাহ করে। তারা বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তা, মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টদের নম্বর সংগ্রহ করে মাস্টারমাইন্ডদের সরবরাহ করে। দ্বিতীয় ধাপে ‘স্পুফিং টিমের’ সদস্যরা কাস্টমার কেয়ার নম্বর কিংবা ব্যাংক কর্মকর্তার নম্বর ক্লোন করে। এর ফলে প্রতারকরা যখন গ্রাহকদের টার্গেট করে ফোন দেয়, তখন হুবহু সংশ্লিষ্ট নম্বরটি দেখতে পায়। এতে বিভ্রান্ত হয়ে অনেক উচ্চ শিক্ষিতও এই ফাঁদে পা দিচ্ছেন। প্রতিটি নম্বর স্পুফিং বা ক্লোন করতে এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা পায় এই টিমের সদস্যরা।

তৃতীয় ধাপে সবচেয়ে প্রধান কাজটি করে ‘কাস্টমার কেয়ার’ টিমের সদস্যরা। তারা ১৫-২০ জন একসঙ্গে একটি রুমে বসে কথাবার্তা বলে একটি সত্যিকারের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের আবহ তৈরি করে। গ্রাহককে ফোন দিলে আশপাশের নয়েজের (কোলাহল) মাধ্যমে তাকে বিভ্রান্ত করা হয়।

চক্রের মাস্টারমাইন্ড নিজেই দলটি পরিচালনা করেন। তারা কাস্টমার কেয়ার কর্মকর্তা সেজে কৌশলে গ্রাহকের কাছ থেকে গোপন পাসওয়ার্ড কিংবা ভেরিফিকেশন কোডসহ বিভিন্ন তথ্য নেয়। সঙ্গে থাকা অন্য কেউ অ্যাপসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করে অর্থ হাতিয়ে নেয়। এ জন্য তারা নির্জন কোনো চর বা গাছপালা ঘেরা নিরাপদ জায়গা বেছে নেয়।

চতুর্থ ধাপে ‘টাকা উত্তোলন’ টিমের সদস্যরা গ্রাহকের কাছ থেকে অর্থ ট্রান্সফারের পরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা এজেন্টদের মাধ্যমে নগদ টাকা উঠিয়ে নেয়। যেসব ব্যালেন্স উত্তোলন করা সম্ভব হয় না, সেসব দিয়ে বিভিন্ন কেনাকাটা করে তারা।

শেষ ধাপে ‘ওয়াচম্যান’ টিমের সদস্যরা স্থানীয়ভাবে ছোটখাটো দোকান চালানোর কাজে সম্পৃক্ত। যারা এলকায় নতুন কোনো আগন্তুক কিংবা সন্দেহভাজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সন্দেহ হলে মাস্টারমাইন্ডকে খবর দেন। তারা ঘণ্টাভিত্তিক বা চুক্তিভিত্তিক কাজ করেন।

প্রতারণার মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দলের মাস্টারমাইন্ড নিজের জন্য ৫০ ভাগ, সহযোগীদের জন্য ৩০ ভাগ, হান্টার টিমকে ২০ ভাগ এবং স্পুফিং টিমকে নম্বরপ্রতি এক-দেড় হাজার টাকা কিংবা কথা বলার সময়ের ভিত্তিতে টাকা প্রদান করে। এছাড়া লটারি জেতার কথা বলেও সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল তারা।

গ্রাহকদের নম্বর হাতিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে এই চক্রের সঙ্গে মোবাইল ব্যাংকিং কিংবা ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা জড়িত কি-না খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান তিনি।

সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, ‘নম্বর স্পুফিং বা ক্লোন করায় গ্রাহকরা হুবহু সংশ্লিষ্ট নম্বর থেকেই ফোন পাবেন। ফোন করে অ্যাকাউন্ট বাতিল, স্থগিত বা সিস্টেম আপগ্রেডের কথা বলে তথ্য, পিন বা ভেরিফিকেশন কোড জেনে নিয়ে অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণে নেয়। কিন্তু প্রতারকদের স্পুফিং নম্বরের আগে সাধারণত ‘প্লাস চিহ্ন’ থাকে। উদাহরণস্বরূপ কোনো কাস্টমার কেয়ারের নম্বর যদি ‘১২২১’ হয়, তাহলে প্রতারকদের দেওয়া ফোন কলে নম্বর হবে +১২২১।’

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
Related Posts
শপথ

প্রধান বিচারপতি পদে জুবায়ের রহমান চৌধুরীর শপথ আজ

December 28, 2025

সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ চলাচলে নতুন সিদ্ধান্ত

December 28, 2025

হাদি হত্যায় জড়িতদের নাম দ্রুতই জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে: ডিএমপি কমিশনার

December 28, 2025
Latest News
শপথ

প্রধান বিচারপতি পদে জুবায়ের রহমান চৌধুরীর শপথ আজ

সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ চলাচলে নতুন সিদ্ধান্ত

হাদি হত্যায় জড়িতদের নাম দ্রুতই জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে: ডিএমপি কমিশনার

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সবার অংশগ্রহণে উৎসবমুখর হবে নির্বাচন : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

weaher-new

কতদিন থাকবে শীতের তীব্রতা, যা জানাল আবহাওয়া অফিস

প্রবাসী

আট দিনে প্রায় তিন লাখ প্রবাসীর কাছে পোস্টাল ব্যালট পাঠানো হয়েছে

EC

তারেক রহমান-জাইমার ভোটার নিবন্ধন নিয়ে ইসি’র সিদ্ধান্ত কাল

Hadi

ওসমান হাদি হত্যার প্রকাশ্যে বিচার চেয়ে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি

ঘন কুয়াশা

শৈত্যপ্রবাহ নেই, আরও কয়েকদিন থাকবে ঘন কুয়াশা

মোবাইল সিম

বছরের শুরুতেই বন্ধ হচ্ছে অতিরিক্ত মোবাইল সিম

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Editorial Team Info
  • Funding Information
  • Ethics Policy
  • Fact-Checking Policy
  • Correction Policy
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.