গ্রহত্ব হারিয়ে প্লুটো এখন বামন গ্রহ। সূর্য থেকে এতে আলো পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় ৫ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। প্লুটোর পাতলা বায়ুমণ্ডল আছে। এর বেশির ভাগই নাইট্রোজেন, মিথেন ও কার্বন মনোক্সাইড। এ বামন গ্রহের গড় তাপমাত্রা মাইনাস ২৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে এখানে বেঁচে থাকা অসম্ভব। ১৯৩০ সালে আবিষ্কারের পর ১১ বছর বয়সী এক মেয়ে এর নামকরণ করে। তখন অবশ্য এটি গ্রহের মর্যাদা পেয়েছিল।

পরে কুইপার বেল্টে এ রকম আরও কিছু বামন গ্রহ আবিষ্কারের পর আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান ইউনিয়ন ২০০৬ সালে প্লুটোকে বামন গ্রহ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করে। গ্রহের মর্যাদা হারানোর মূল কারণ এর আকৃতি। এর আকার পৃথিবীর তুলনায় মাত্র ১৮.৫ শতাংশ।
প্লুটোকে প্রদক্ষিণ করছে পাঁচটি চাঁদ। ক্যারন, নিক্স, হাইড্রা, কারবেরোস ও স্টাইকস। সৌরজগৎ তৈরির শুরুর দিকে একই আকারের আরেকটি বামন গ্রহের সঙ্গে ধাক্কা লেগে চাঁদগুলো তৈরি হয়েছিল বলে মনে করা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ক্যারন। এটি আবার আকারে প্লুটোর প্রায় অর্ধেক। আকৃতির কারণে প্লুটো ও ক্যারনকে বলা হয় ‘দ্বৈত গ্রহ’।
প্লুটোর কাছাকাছি যাওয়া একমাত্র মহাকাশযান নাসার নিউ হরাইজনস। প্লুটোপৃষ্ঠ খুব ঠান্ডা হওয়ায় এর পানি মূলত পাথুরে। বামন গ্রহটি শুক্র ও ইউরেনাসের মতো বিপরীতভাবে ঘোরে। প্লুটোর কোনো বলয় নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



