জুমবাংলা ডেস্ক : পর গুলিবর্ষণের ঘটনার কড়া সমালোচনা করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির, হাটহাজারী মাদরাসার শায়খুল হাদীস এবং শিক্ষা পরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে আমিরে হেফাজত আল্লামা বাবুনগরী বলেন, চিহ্নিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দারুচ্ছালাম ঈদগাহ মাদরাসার নির্মাণকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর চালিয়ে এবং তৌহিদি জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করে ফটিকছড়ির শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করছে। এভাবে দিনদুপুরে তৌহিদি জনতার ওপর গুলিবর্ষণ ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হামলা করে রক্তাক্ত করার ঘটনা চরম উদ্বেগজনক। অনতিবিলম্বে এই সন্ত্রাসী হামলার নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী আরো বলেন, কওমি মাদরাসা দ্বীন রক্ষার মজবুত দুর্গ। দ্বীন ইসলামের সংরক্ষণে কওমি মাদরাসা ও ওলামায়ে কওমিয়ার অবদান অনস্বীকার্য। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায়ও কওমি মাদরাসা অনেক অবদান রয়েছে। যারা কওমি মাদরাসায় হামলা করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চায় এ দেশের তৌহিদি জনতা তাদের কালো হাত ভেঙে দেবে। এ দেশের জনগণ মাদরাসা প্রিয়, আলেমপ্রিয়।
আমিরে হেফাজত বলেন, উক্ত মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকের কোনো প্রকারের দোষ না থাকা সত্ত্বেও সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে মাদরাসায় ভাঙচুর ও হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। কওমি মাদরাসায় এহেন সন্ত্রাসী হামলা কখনো মেনে নেওয়া যায় না। এ ঘটনায় যারা হতাহত হয়েছে তাঁদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করে মাদরাসার নির্মাণ কাজে ভাঙচুরের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি একটি শান্তিপ্রিয় থানা উল্লেখ করে আমিরে হেফাজত আল্লামা বাবুনগরী বলেন, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের পূণ্যভূমি। ফটিকছড়ির মানুষ শান্তিপ্রিয়। সম্প্রতি একটি চিহ্নিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কওমি মাদরাসায় হামলা, শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের শানে বিষোদগার করে ফটিকছড়ির শান্তিশৃঙ্খলা বিনষ্ট করার পাঁয়তারা করছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সজাগ থাকতে হবে এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।