চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: বন ও পাহাড়ঘেরা নির্মল প্রাকৃতিক পরিবেশে ফয়’স লেক বেজক্যাম্প এক অনন্য সৌন্দর্যের প্রতীক। সবুজে ঘেরা উচু-নিচু পাহাড়ি পথ, সাপের মত এঁকেবেঁকে চলা লেকের জলরাশি ও পাখ-পাখালির ডাক যে কাউকে বিস্ময়কর এক অনুভূতি দেবে।
লেকের পাড় বেয়ে উপড়ে উঠলেই বেইস ক্যাম্পের মূল ফটক। ভেতরে প্রবেশ করে পাহাড়ি পথের সিড়ি পেরিয়ে পাওয়া যাবে জিপলাইনের কাঠামো। সেখান থেকেই তারে ঝুলে শূন্যে ভেসে এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে যাওয়ার ব্যবস্থা।
জিপলাইনের চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে পাহাড়ি পথ বেয়ে উঠলেই ট্রিটপ চাডভেঞ্চার, যেখানে রয়েছে দশটি ধাপের নানারকম এ্যাডভেঞ্চারমূলক কার্যক্রম। বিভিন্ন ধাপের নিচে পাহাড়ি ঢাল আর উপড়ে এক গাছ থেকে অন্য গাছে যেতে হয় কাঠের পাটাতন টায়ার, সরু ব্রিজ, মাকড়সার জালের মতো জাল ধরে চলাচল এবং বাঁকা ত্যাড়া নানা নকশার ছোট ছোট সেতু পেরিয়ে। এরপর অবস্টেবল কোর্স যা বেজক্যাম্পের এ্যাডভেঞ্চারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
এখানে আরেক রোমাঞ্চকর অনুভূতি হবে জায়ান্ট সুইংয়ে। প্রকান্ড এক লৌহ কাঠামোতে শূন্যে ভেসে দোলার অনুভূতি নিয়ে শিহরণ জাগাবে। পাহাড়ের ঢালজুড়ে রয়েছে জারান্ট হামক, যেখানে বসে বা শুয়ে নিরিবিলি প্রকৃতিকে অনুভব করা যায় নিজের মতো করে।
পাহাড়ের পাদদেশে সাপের মতো আঁকাবাঁকা হ্রদ ভ্রমণে কায়া কিং উপভোগের দারুণ এক সুযোগ রয়েছে। বাচ্চাদের জন্য রয়েছে চিলড্রেন অ্যাক্টিভিটিস এলাকা।
বেজক্যাম্পের আউটডোর কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে আর্চারি, ওয়াটার জিপলাইন, ক্রলিং, মাডট্রেইল, প্যাডেল বোটিং, ওয়াটার জিপলাইন, রিভার ক্রসিং। ভ্রমণের পূরিপূর্ণতা দিতে সান্ধ্যকালীন সময়ে পুরো ক্যাম্প জুড়ে নাইটসাফারীর ব্যবস্থা রয়েছে। ফয়’স লেক বেজক্যাম্পে ভ্রমণ আরো রোমাঞ্চকর করতে খোলা আকাশের নিচে তাবু টাঙ্গিয়ে রাত কাটানোর সু-ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে প্রাতঃরাশ থেকে শুরু করে দুপুর ও বিকেলের খাবারসহ বার-বি-কিউ-এর আয়োজন।
প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য, নিরাপত্তা ও আতিথেয়তার সকল সুযোগ সুবিধা মিলে ফয়সলেক বেজক্যাম্প দেশের পর্যটনে এক বিশেষ মাইলফলক।
চট্টগ্রাম শহরের পাহাড়তলীর ৩৩৬ একর জায়গার ওপর গড়ে উঠেছে বিনোদন কেন্দ্র ফয়’স লেক। দর্শনার্থীরা সেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি রোমাঞ্চকর সব রাইডে চড়তে পারেন। গত বছর থেকে ফয়’স লেকে চালু হয়েছে এই ‘বেজক্যাম্প’।
নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশ্বব্যাংকের বিশেষ তহবিল চান প্রধানমন্ত্রী
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।