জুমবাংলা ডেস্ক: আখ চাষাবাদের উপযোগী মাটি, নদীর পাড়ে এবং হওয়ায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পৌরসভার ইছামতী নদীর পাড়ে ঘাটচেক এলাকা জুড়ে আখ চাষ হয় চোখে পড়ার মতো। ইছামতী নদীর তীরে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে আখ চাষ করে যাচ্ছেন ফরিদ মিয়া। কয়েকদিন পরে বাজারে তুলবে রসালো দেশি জাতের আখ। কয়েকগুণ বেশি লাভবান হওয়ায় আখ চাষ করেছেন ওই এলাকার কৃষকরা।
জানা গেছে, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ড মুরাদ নগর এলাকায় দেশি আখের চাষ করে লাভের আশা করছেন কৃষক ফরিদ মিয়া। একই উপজেলায় আখ চাষে লাভবান হচ্ছেন আরো অনেক কৃষক। একেকজন চাষি লাখ টাকার উপর আয় করছেন। রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘাটচেক, পদুয়া, শিলক, পারুয়া, রাজার হাট, বাঙ্গাল হালিয়া, সরফভাটা সহ বেশ কিছু জায়গায় এ আখ চাষ করা হয়েছে। এতে উপজেলার কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন প্রত্যান্ত অঞ্চলে এবার দেশি জাতের আখের আবাদ করেছেন। উপজেলার ঘাটচেক, পদুয়া, শিলক, পারুয়া, রাজার হাট, বাঙ্গাহালিয়া, সরফভাটা, ইত্যাদি বিভিন্ন জায়গায় দেশি আখের আবাদ করা হয়েছে। দিন দিন রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন জায়গায় আখের চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আখ চাষে লাভবান হওয়ায় কৃষকরা এই চাষাবাদে ঝুঁকছে বেশি।
প্রত্যন্ত অঞ্চলের মাঠে দেখা গেছে, দুলছে সারি সারি আখ। দেশি জাতের বলে গায়ের রং উজ্জ্বল হালকা হলুদ রংয়ের হয়। কমপক্ষে ১২-১৩ ফুট লম্বা মাঝারি মোটা আখগুলো সারিবদ্ধভাবে সোজা দাঁড়িয়ে আছে। নুইয়ে পড়া ঠেকাতে প্রত্যেক সারির মাঝে মাঝে বাঁশের শক্ত খুঁটিতে মোটা দড়ি বাঁধা।
মুরাদনগর এলাকার কৃষক ফরিদ মিয়া বলেন, আখের চারা লাগানো পরে এক বছর পর এই আখ খাবার উপযোগী হয়। ভাদ্র মাসের শুরুর দিকে আখ তোলা হয় বাগান থেকে। এই আখ বড় করতে সার, ফসফেট, গোবর, ছাই ব্যবহার করা হয়। আখ চাষে তেমন কোনো খরচ না থাকায় চাষীরা লাভবান হচ্ছে বেশি।
আরো জানান তিনি, মাত্র ২ শতক জমির উপর আখ চাষ করতে খরচ পড়েছে ৫০ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে তিনি ১ লাখ টাকার মত আখ পাইকারি দরে বিক্রি কথা হচ্ছে। বিক্রয় করে আরো প্রায় ৪০ হাজার টাকার মত আখ বাগানে থাকবে। সামনে হিন্দুদের ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে তিনি বাকি আখগুলো ভালো দামে বিক্রির আশায় করেছেন।
রাঙ্গুনিয়ার উপজেলার কৃষি কার্যলায় সূত্রে জানা গেছে, একটি জমিতে বছরে এক বার আখ চাষ করা যায়। আখ চাষের পর ওই জমিতে বিভিন্ন জাতের ফসলের চাষ করে পরের বছর আবার আখ চাষ করতে হয়। অর্থাৎ একই জমিতে বার বার আঁক চাষ করা যায় না। করলে ফলন হয় না।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রাঙ্গুনিয়ায় সবজি থেকে আখের ভালো ফলন হয়। বর্তমানে রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে আখের ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন বেশি। আখে সঠিক পরিমাণে সার, পানি ও প্রতিনিয়ত পরিচর্যা করলে এখানকার কৃষকরা ভালো লাভবান হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।