রিয়ন দে, চাঁদপুর: ড্রাগন ফল বাণিজ্যিকভাবে চাষ করে সফল হয়েছেন চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার মোজাম্মেল হক তালুকদার। তার সফলতা দেখে স্থানীয় অনেকেই বেকার বসে না থেকে ড্রাগন চাষ করার আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
গতকাল (১৯ আগস্ট) বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের লোহাগড় গ্রামে মোজাম্মেলের বাগানে গিয়ে লাল রঙ্গের ড্রাগন ফলের বাম্পার ফলন দেখা যায়। পার্শ্ববর্তী গ্রামের অনেকেই ড্রাগনের বাগানটি দেখতে এসেছেন।
মোজাম্মেল হক তালুকদার বলেন, আমি এক একর জমিতে বেড তৈরি করে ৭০০ ড্রাগন ফলের চারা রোপণ করি। বেড তৈরি থেকে শুরু করে চারা রোপন ও গাছের পরিচর্যায় এ পর্যন্ত প্রায় ৭ লাখ টাকারও বেশি খরচ হয়েছে। লাল ও সাদা দুই প্রকারের ড্রাগন চারা রোপন করেছি। বর্তমানে প্রতিটা গাছে ড্রাগন ফল ধরেছে। পর্যায়ক্রমে ফলন আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছি।
তিনি আরও বলেন, বরগুনা ও ঢাকা থেকে ড্রাগনের চারাগুলো সংগ্রহ করেছি। ইতোমধ্যে আমার বাগানের ড্রাগন ফল বিক্রি শুরু হয়েছে। বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি ড্রাগন ফল পাইকারি ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা কবি কাশেম জানান, ড্রাগন ফলের বাগানটি দেখতে খুব সুন্দর ও পরিপাটি। প্রতিটি গাছেই ফল ধরেছে। এছাড়া, ড্রাগন ফলের দামও বাজারে বেশ ভালো পাওয়া যাচ্ছে। তাই আমিও এই ফলের চাষ শুরু করার পরিকল্পনা করছি।
ফরিদগঞ্জের বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের দায়িত্বরত কৃষি অফিসার সাজ্জাতুল ইমরান বলেন, ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও মিনারেল রয়েছে। একটি ড্রাগন ফলে ৬০ ক্যালোরি পর্যন্ত শক্তি এবং প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম, বিটাক্যারোটিন ও লাইকোপিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, ডায়াবেটিস ও ক্যানসার প্রতিরোধে ড্রাগন ফল খুবই কার্যকরী। তাই মাঠ পর্যায়ের চাষীদের আমরা ড্রাগন চাষে প্রয়োজনীয় তথ্য সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।