জুমবাংলা ডেস্ক : রমজানে বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর পৌর বাজারে অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানের খবরে পালিয়ে যান বাজারের বেশির ভাগ ফল ও তরমুজ ব্যবসায়ী। অভিযানকালে মূল্য তালিকা না থাকা, তালিকা আপডেট না করা ও অতিরিক্ত মূল্যে ফল বিক্রি করার দায়ে তিন প্রতিষ্ঠানকে সাত হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাইজদী পৌর বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া। অভিযানে সহযোগিতা করেন জেলা স্যানেটারি কর্মকর্তা শওকত আলী ও সুধারাম মডেল থানা পুলিশ।
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে ও রমজানে বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে মাইজদী পৌর বাজারে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এসময় মূল্য তালিকা না থাকা, তালিকা হালনাগাদ না করা ও অতিরিক্ত মূল্যে আপেল, কমলা, খেজুর ও আঙ্গুর বিক্রি করার দায়ে বাহার ফল বিতানকে তিন হাজার, ইসমাইল ফল বিতানকে দুই হাজার ও পূর্ণিমা এন্টারপ্রাইজকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
কিছু দোকানে অনিয়মের কারণে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়েছে- এমন খবর বাজারে ছড়িয়ে পড়লে বাজারের বেশির ভাগ ফল ও তরমুজ ব্যবসায়ী তাদের দোকান রেখে পালিয়ে যান। ভোক্তা অধিকারের ভ্রাম্যমাণ আদালত সেই দোকানগুলোতে গিয়ে দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থাকলেও কোনো মালিককে না পেয়ে ফিরে আসেন।
মাইজদী পৌর বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ জুলফিকার বলেন, অনেকদিন পর অভিযান হওয়ার কারণে ভয়ে ফল ব্যবসায়ীরা দোকান রেখে পালিয়ে গেছেন। তারা যেন আগামীতে এমন কাজ না করেন সে বিষয়ে বোঝানো হবে। সব ব্যবসায়ীকে মূল্য তালিকা রেখে ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য আমাদের সমিতি থেকে অনুরোধ করা হবে।
কাউছার মিয়া বলেন, অভিযানকালে তিনজন ফল বিক্রেতার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ প্রামাণিত হওয়ায় তাদের জরিমানা করা হয়েছে। একইসঙ্গে অন্য ব্যবসায়ীদের সর্তক করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আগামীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।