মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট জানায় যে, ফোন থেকে নির্গত রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি বিকিরণের তীব্রতা এবং একই সাথে মানবদেহে এর কীরূপ প্রভাব পড়তে পারে তা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাবলিশ করেছে। অনেক ব্যবহারকারী স্মার্টফোন বা ওয়ারলেস ডিভাইস থেকে নির্গত রেডিয়েশন নিয়ে দুশ্চিন্তা করে থাকেন।
আমাদের সমাজে এরকম কথা প্রচলিত আছে যে মোবাইল নেটওয়ার্ক বা ডিভাইস থেকে নির্গত রেডিয়েশন ব্রেন ক্যান্সারসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর রোগের জন্ম দেয়। ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক রেডিও তরঙ্গের উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। এটি একাধিক এন্টেনা এবং ট্রান্সমিটারের ওপর নির্ভর করে বলে ব্যবহারকারীরা মনে করে থাকেন।
গবেষণায় দেখা যায় যে, রেডিয়েশন দুই ধরনের হতে পারে। প্রথমটি হতে পারে আয়োনাইজিং ও দ্বিতীয়টি হতে পারে নন-আয়নাইজিং। আয়োনাইজিং তরঙ্গের ফ্রিকোয়েন্সি অনেক বেশি। তাই এটি মানব দেহের জন্য নিঃসন্দেহে ক্ষতিকর।
অন্যদিকে নন-আয়োনাইজিং তরঙ্গের ফ্রিকোয়েন্সি কম থাকে। এজন্য এটি মানব দেহের তেমন ক্ষতিসাধন করে না। পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক এর ফ্রিকোয়েন্সি রেঞ্জ ৮০ হার্জ এর কাছাকাছি। তবে ভালো খবর হচ্ছে এটিকে নন-আয়োনাজিং ক্যাটাগরির মধ্যে ফেলা যায়।
নন-আয়নাইজিং ক্যাটাগরি হওয়ায় এর ফ্রিকোয়েন্সি কম থাকবে। ফলে মানব দেহের ডিএনএকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে না। এর জন্য শরীরে ক্যান্সার সহ ভয়াবহ রোগ-ব্যাধি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
আমেরিকার ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট আরও জানায় যে, ব্যবহারকারীরা স্মার্টফোন বা ওয়ারলেস ডিভাইস বেশি ব্যবহার করলে তা ব্রেন ক্যান্সার বা টিউমারের ঝুঁকি বাড়াবে না।
দীর্ঘক্ষণ স্মার্টফোন ব্যবহার করলে ভয়াভহ রোগ হবে এরকম কোন সম্ভাবনা নেই । কাজেই মোবাইল বা ওয়ারলেস নেটওয়ার্কের রেডিয়েশন থেকে মানবদেহের স্বাস্থ্যের সমস্যা তৈরি হবে এবং ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে এরকম কোন উপযুক্ত যুক্তি বা প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
অনেকেই মনে করেন মোবাইল ফোন বেশি ব্যবহার করলে মস্তিষ্ক এবং কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে আগামী দিনে এই বিষয়ে মানুষের দুশ্চিন্তা করার কিছু থাকবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।