সিঙ্গাপুর সোমবার জানিয়েছে, তারা সঠিক শর্তে একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে এবং সহিংসতা উসকে দেওয়ার অভিযোগে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী গোষ্ঠীর নেতাদের ওপর লক্ষ্যভিত্তিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।
সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণন সংসদে বলেন, “আমরা ইসরায়েলি সরকারকে বসতি নির্মাণ ও সম্প্রসারণ বন্ধ করার আহ্বান জানাই। বিশেষ করে ই১ বসতি প্রকল্প পশ্চিম তীরকে টুকরো টুকরো করছে।” তিনি আরো যোগ করেন, সিঙ্গাপুর চলমান প্রচেষ্টার বিরোধিতা করে যা নতুন বাস্তবতা তৈরি করে এবং দুই রাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনাকে দুর্বল করে।
বালাকৃষ্ণন বলেন, “সিঙ্গাপুরের জন্য বিষয়টি হলো কখন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে, হবে কি হবে না নয়। আমরা এমন পরিস্থিতির অপেক্ষা করছি যেখানে কার্যকর ফিলিস্তিনি সরকার থাকবে, যা ইসরায়েলের অস্তিত্বের অধিকার মেনে নেবে এবং সন্ত্রাসবাদের কৌশল প্রত্যাখ্যান করবে।”
তিনি আরও বলেন, “দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত সমাধান করতে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় পৌঁছাতে হবে, যাতে দুটি রাষ্ট্র—ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি—শান্তি, নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করতে পারে।”
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সাধারণত পশ্চিম তীরের ইসরায়েলি বসতিগুলোকে আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে অবৈধ মনে করে। তবে ইসরায়েল এই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে এবং ঐতিহাসিক ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত যুক্তি তুলে ধরে।
সিঙ্গাপুর ও ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও, ২০২৪ সালে সিঙ্গাপুর জাতিসংঘে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতির পক্ষে একাধিক প্রস্তাবে ভোট দিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।