রিয়ন দে, চাঁদপুর: মাস্টার্স শেষ করে চাকরির জন্য ছোটাছুটি করেও যখন চাকরি পাচ্ছিলেন না তখন সিদ্ধান্ত নেন উদ্যোক্তা হওয়ার। রাস্তার পাশে ফুটপাতে ভ্রাম্যমাণ দোকান খুলে চিকেন চাপ ও লুচি বিক্রি শুরু করেন। আর তাতেই ভাগ্য খুলে যায় চাঁদপুরের যুবক মোঃ ওমর ফারুকের। এখন দিনে তার আয় ১৪-১৫ হাজার টাকা। দোকানে কর্মসংস্থান হয়েছে আরও ছয় যুবকের।
বুধবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় চাঁদপুর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পেছনে অযাচক আশ্রম সড়ক রেললাইনের পাশে অবস্থিত সুলতান শেফ নামে ওমর ফারুকের দোকানে গেলে ভোজনরসিকদের ভিড় দেখা যায়।
ওমর ফারুক জুমবাংলাকে জানান, ‘চাকরি না পেয়ে কিছুটা হতাশ ছিলাম। পরে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখি। শুরু করি এই ব্যবসা। এখন আমার দিনে আয় ১৪-১৫ হাজার টাকা। কর্মচারীদের বেতন দিয়েও মাস শেষে আমার ভালো একটা অ্যামাউন্ট হাতে থাকে। সংসারের জন্য খরচ করেও কিছু টাকা জমা করতে পারছি। বলতে পারেন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভালোই আছি।’
দোকানের খাবার সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে কয়েকরকম খাবার পাওয়া যায়। এর মধ্যে কাঁকড়া ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা, অক্টোপাসের রেট ২০০ থেকে ৫০০ টাকা, কোরাল মাছ সাইজ অনুযায়ী ৬০০ থেকে ১১০০ টাকা, তেলাপিয়া ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, রূপচাঁদা ২০০ টাকা এবং বারবিকিউ টুনা ফিস ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি করছি। তবে চিকেন মাসালার পাশাপাশি আমরা মাছেরও মাসালা তৈরি করে বিক্রি করছি।’
ওমর ফারুক আরও বলেন, ‘আমরা চিকেন চাপ আর ২ পিস লুচি ৭০ টাকা, বারবিকিউ চিকেন তান্দুরি দুই পিস লুচিসহ ১০০ টাকা, কোল্ড কফি, লাচ্ছি, ফালুদা ৮০ থেকে ১২০ টাকা মূল্যে বিক্রি করছি।’
সবসময় ফ্রেশ খাবার তৈরির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের খাবার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করেনা। যে কেউ চাইলে এখানে এসে খাবার খেতে পারবেন এবং চাইলে অনলাইনে অর্ডার করলে ডেলিভারিও ব্যবস্থা রয়েছে।’
সুলতান শেফে চিকেন চাপ খেতে আসা ভোজনরসিক কামরুল এহসান বলেন, সুলতান শেফ ঘরোয়া পদ্ধতিতে চাপ তৈরি করে বলে খেতে যথেষ্ট ভালো লাগে। ফ্রাই করার পরেও চিকেনটা হার্ড হয়ে যায় না। মসলাটা মাংসের ভিতরে ভালোভাবে যায়। আশা করি সুলতান শেফ তাদের এই সুনাম বজায় রাখবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।