Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home ফুটবলে বাংলাদেশের সাফল্য:গৌরবের ইতিহাস
    খেলাধুলা ডেস্ক
    খেলাধুলা ফুটবল

    ফুটবলে বাংলাদেশের সাফল্য:গৌরবের ইতিহাস

    খেলাধুলা ডেস্কMd EliasAugust 24, 20259 Mins Read
    Advertisement

    সেদিন ঢাকার বাতাসে মিশেছিল বিজয়ের গন্ধ। চাঁদগাজী ভিআইপি গ্যালারি থেকে শুরু করে ফুটপাতের চায়ের দোকান – সবখানে একটাই ধ্বনি: “বাংলাদেশ! বাংলাদেশ!” ১৯৯৫ সালের সেই ঐতিহাসিক ডিসেম্বরের রাত। মালদ্বীপের জালে আটকা পড়েনি লাল-সবুজ জার্সির স্বপ্নযোদ্ধারা। শেখ মো. সাকিবের জাদুকরি পায়ে আসে সেই অমর গোল, আর তারপর… বাংলাদেশের নাম লেখা হয় দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল শিরোপার মহামান্য পটভূমিতে। শুধু একটি ট্রফি জেতার গল্প নয়, এটি ছিল স্বাধীন দেশের আত্মপরিচয়ের জয়গান, ক্রীড়াঙ্গনে অসম্ভবকে সম্ভব করার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সেই সোনালি সন্ধ্যা আজও বাঙালির হৃদয়ে স্পন্দিত হয়, প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে। এই ফুটবলে বাংলাদেশের সাফল্য: গৌরবের ইতিহাস শুধু অতীতের দলিল নয়, ভবিষ্যতের দিগন্ত উন্মোচনের প্রেরণা।

    ফুটবলে বাংলাদেশের সাফল্য

    • ফুটবলে বাংলাদেশের সাফল্য: গৌরবের ইতিহাস – স্বাধীনতার পরের যাত্রাপথ
    • অবিস্মরণীয় ১৯৯৫ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ: গৌরবের চূড়ায় আরোহণ
    • সাফল্যের ধারাবাহিকতা: উত্থান-পতনের মাঝে আশার আলো
    • ভবিষ্যতের পথে: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার দ্বন্দ্ব
    • জেনে রাখুন

    ফুটবলে বাংলাদেশের সাফল্য: গৌরবের ইতিহাস – স্বাধীনতার পরের যাত্রাপথ

    স্বাধীনতার পরের বছরগুলোতে বাংলাদেশের ফুটবল ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত জাতির পুনর্গঠনের প্রতীক। ১৯৭৩ সালের জুলাই মাসে, মাত্র দুই বছর পর, ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে (তৎকালীন ঢাকা স্টেডিয়াম) স্বাগতিক বাংলাদেশ মুখোমুখি হয় থাইল্যান্ডের। প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ! ফলাফল ২-২ ড্র। যদিও জয় আসেনি, কিন্তু এই ম্যাচই প্রমাণ করেছিল: বাংলাদেশ ফুটবল মাঠে নিজের অস্তিত্ব জানান দিতে সক্ষম। সেই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জাকারিয়া পিন্টু, বাদশা মিয়া, কাজী সালাউদ্দিনের মতো কিংবদন্তিরা। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম, ত্যাগ ও দেশপ্রেমই ভিত্তি গড়েছিল ভবিষ্যতের সাফল্যের।

       

    ১৯৭০-৮০ দশক ছিল বাংলাদেশি ফুটবলের “সোনালি যুগ”। দল ক্রমাগত শক্তিশালী হতে থাকে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। ১৯৭৫ সালে মালয়েশিয়ায় মারদেকা টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ ছিল একটি মাইলফলক। সেমিফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ! ১৯৮০ সালে নেপালে অনুষ্ঠিত এশিয়ান জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপে তৃতীয় স্থান অধিকার করে তরুণরা দেখিয়েছিল ভবিষ্যতের সম্ভাবনা। কিন্তু সবচেয়ে উজ্জ্বল অধ্যায় লেখা হয় ১৯৮৬ সালে। দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব পারফরমেন্স! গ্রুপ পর্বে ভারত (২-১), থাইল্যান্ড (১-০) এবং ইন্দোনেশিয়ার (১-০) মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে বাংলাদেশ। বিশ্বজুড়ে ফুটবলপাগলদের চোখ কপালে উঠেছিল। কোয়ার্টার ফাইনালে শক্তিশালী ইরাকের কাছে ১-০ গোলে পরাজয় অবশ্যম্ভাবী মনে হলেও, সেই লড়াই দেখিয়েছিল বাংলাদেশের অদম্য মনোবল। এই দলে ছিলেন কাজী আনোয়ার, মাসুদ রানা, আমিনুল হক, আশরাফুদ্দিন চুন্নু, নাসিরুল ইসলাম নাসু, মানিক প্রমুখ তারকা। তাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশি ফুটবল বিশ্ব মানচিত্রে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করে।

    গুরুত্বপূর্ণ দিক:

    • জাতীয়তাবোধের উত্থান: স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে ফুটবল ছিল জাতীয় ঐক্য ও গর্বের অনন্য মাধ্যম।
    • প্রতিষ্ঠানিক ভিত্তি: বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এর কার্যকরী ভূমিকা ও বিভিন্ন ক্লাব ফুটবলের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
    • দেশজ প্রতিভার উন্মেষ: ওই সময়ের খেলোয়াড়রা প্রায় সবাই ছিলেন দেশে গড়ে উঠা, স্থানীয় ক্লাবগুলোর (আবাহনী, মোহামেডান, ব্রাদার্স ইউনিয়ন) সুনিপুণ খেলোয়াড়।
    • সুবর্ণ প্রজন্ম: ৮০-র দশকের দলটিকে বাংলাদেশ ফুটবলের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রতিভাবান ও সফল প্রজন্ম হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

    অবিস্মরণীয় ১৯৯৫ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ: গৌরবের চূড়ায় আরোহণ

    যদি বলতে হয় বাংলাদেশি ফুটবলের ইতিহাসে সবচেয়ে উজ্জ্বল, সবচেয়ে আবেগঘন, সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায়ের নাম কী, উত্তর একটাই – ১৯৯৫ সালের সাউথ এশিয়ান ফুটার্স ফেডারেশন (সাফ) গোল্ড কাপ। ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই টুর্নামেন্ট। স্বাগতিক হিসেবে দারুণ চাপের মুখে ছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কাকে ৩-০ (গোল: মোনেম, রুম্মান, কানাই) এবং নেপালকে ১-০ গোলে হারিয়ে (গোল: রুম্মান) সেমিফাইনালে পৌঁছায় বাংলাদেশ।

    সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ ছিল প্রতিবেশী ও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত। ম্যাচটি ছিল নার্ভ-র্যাকিং। নিয়মিত সময় শেষ হয় ১-১ গোলে ড্র অবস্থায় (বাংলাদেশের গোল: মোনেম)। টাইব্রেকার পেনাল্টি শুটআউটে নির্ধারিত হয় চূড়ান্ত খেলার যাত্রী। গোলকিপার জাহিদ হাসান এঞ্জেল পরিণত হন জাতীয় বীরে। তিনি দুর্দান্তভাবে দুটি পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন! আর আলমগীর, কানাই, সৈকত ও রুম্মান নির্ভুলভাবে পেনাল্টি কনভার্ট করেন। ৪-২ স্কোরে বাংলাদেশ হারায় ভারতকে, জয় করে ফাইনালের টিকিট। সারা দেশে শুরু হয় আনন্দের বন্যা।

    ডিসেম্বরের ২১ তারিখ। ফাইনাল। চাঁদগাজী ভিআইপি গ্যালারি থেকে সাধারণ দর্শক গ্যালারি – প্রতিটি আসন কানায় কানায় পূর্ণ। বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে হারানো মালদ্বীপ। গোটা দেশ একসাথে দাঁড়িয়ে আছে তার দলটির পাশে। ম্যাচটি ছিল রুদ্ধশ্বাস, কৌশলগত লড়াই। নিয়মিত সময় শেষ হয় গোলশূন্য ড্র অবস্থায়। অতিরিক্ত সময়েও কোন গোল না হওয়ায় ম্যাচ যায় টাইব্রেকার পেনাল্টি শুটআউটে। আবারও সেই চাপ, আবারও সেই নাটকীয়তা।

    পেনাল্টি সিরিজ:

    • মালদ্বীপের প্রথম শট: জাহিদ হাসান এঞ্জেল সেভ করেন!
    • বাংলাদেশের প্রথম শট: আলমগীর গোল করেন!
    • মালদ্বীপের দ্বিতীয় শট: গোল।
    • বাংলাদেশের দ্বিতীয় শট: কানাই গোল করেন!
    • মালদ্বীপের তৃতীয় শট: জাহিদ আবারও সেভ করেন!
    • বাংলাদেশের তৃতীয় শট: শেখ মো. সাকিব এগিয়ে আসেন… শট… গোওলললললললল!!!

    বাংলাদেশ ৩-০ (পেনাল্টিতে) জয়ী হয়। দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ!

    সেদিনের সেই মুহূর্তটি শুধু একটি খেলার জয় ছিল না; ছিল একটি জাতির আবেগ, অহংকার ও অদম্য স্পৃহার বিজয়। স্টেডিয়ামে রোলে ফেটে পড়ে আনন্দ। রাস্তায় নেমে আসে মানুষ। গান, নাচ, ফেস্টুন, মিষ্টি বিতরণ – সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে উৎসবের আমেজ। শেখ মো. সাকিব, জাহিদ হাসান এঞ্জেল, মোনেম মুন্না, রুম্মান ওয়ালী ভূঁইয়া, আলমগীর, কানাই, সৈকত, অমলেশ সেন, আবদুস সালাম, সাঈদ হাসান কানন, ফরিদ উদ্দিন, আব্দুল্লাহ আল নোমান, নাকিবুর রহমান মুরাদ, আবুল কালাম আজাদ, সাইফুল বারী টিটো, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, রবিউল হাসান, মেজবাহ উদ্দিন, জাহাঙ্গীর এবং কোচ অ্যামিরোয়েল মার্তিনের নাম চিরকাল লেখা থাকবে স্বর্ণাক্ষরে।

    বাফুফে-র অফিসিয়াল আর্কাইভে এই ঐতিহাসিক টুর্নামেন্টের কিছু দৃশ্য দেখে নিতে পারেন।

    সেই জয়ের প্রভাব: জাতীয় চেতনায় নতুন মাত্রা

    ১৯৯৫-এর সাফ জয় শুধু একটি ট্রফিই জোগায়নি, তা জাতীয় চেতনায় যোগ করেছিল অফুরন্ত আত্মবিশ্বাস। প্রমাণিত হয়েছিল যে দক্ষতা, সংগঠন ও দৃঢ় মনোবলের কাছে অসম্ভব বলে কিছু নেই।

    • যুব প্রজন্মের অনুপ্রেরণা: হাজার হাজার কিশোর-তরুণের মনে ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন বুনে দিয়েছিল এই সাফল্য। স্থানীয় মাঠগুলো হয়ে উঠেছিল ভবিষ্যত তারকাদের আখড়া।
    • ফুটবলের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি: ফুটবল হয়ে উঠেছিল দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় খেলা। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস-আদালত – সর্বত্র ফুটবলের আলোচনা।
    • অবকাঠামো উন্নয়নে চাপ: সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ফুটবলের উন্নয়নে বিনিয়োগের দাবি জোরালো হয়।

    সাফল্যের ধারাবাহিকতা: উত্থান-পতনের মাঝে আশার আলো

    ১৯৯৫-এর পর থেকে বাংলাদেশি ফুটবল নানা চড়াই-উতরাই পার করেছে। পেশাদারিত্বের অভাব, সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাব, আর্থিক সঙ্কট, প্রশাসনিক জটিলতা মাঝেমধ্যে ম্লান করেছে সেই সোনালি স্মৃতি। তবে, জ্বলজ্বলে কিছু মুহূর্ত বারবার মনে করিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের ফুটবলে অন্তর্নিহিত সম্ভাবনার কথা।

    • ১৯৯৯ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ (ফাইনালিস্ট): নেপালে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ফাইনালে উঠে। ভারতের কাছে ২-০ গোলে পরাজিত হলেও রানার্স-আপ হওয়া ছিল বড় অর্জন।
    • ২০০৩ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ (ফাইনালিস্ট): আবারও ফাইনালে বাংলাদেশ, আবারও ভারতের কাছে পরাজয় (১-১ ড্র, অতিরিক্ত সময়ে ভারতের গোল)।
    • ২০১৮ এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ: বাংলাদেশ দল ইতিহাস গড়ে এই টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে উঠে।
    • ২০২১ ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ: বাংলাদেশ ১-১ গোলে ড্র করে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে অনেক ওপরে থাকা আফগানিস্তানের সাথে! এই ফলাফল আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতার ইঙ্গিত দেয়।
    • অনূর্ধ্ব দলগুলোর সাফল্য: অনূর্ধ্ব-১৬, অনূর্ধ্ব-১৯ দলগুলো মাঝেমধ্যে উল্লেখযোগ্য ফলাফল করে, যা ভবিষ্যতের জন্য আশাবাদী করে।

    বর্তমান প্রজন্ম: নতুন স্বপ্ন, নতুন প্রত্যাশা

    আজকের বাংলাদেশি ফুটবলে দলগতভাবে হয়তো ৯৫-র মতো বড় ট্রফি জোটেনি, কিন্তু ব্যক্তিগত পর্যায়ে কিছু খেলোয়াড় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছেন।

    • জামাল ভূঁইয়া: বাংলাদেশ ফুটবলের বর্তমান তারকা। মালয়েশিয়ার কেদাহ ডারুল আমান এফসি, ভারতের মোহনবাগান, বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসে তার পারফরমেন্স তুমুল আলোচিত। আন্তর্জাতিক ম্যাচে তার গোলদক্ষতা দলের জন্য অমূল্য সম্পদ।
    • মহিবুর রহমান সোহেল: মিডফিল্ডে তার দক্ষতা, বল নিয়ন্ত্রণ ও গোল করার ক্ষমতা তাকে দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ে পরিণত করেছে।
    • তোফাজ্জল ইসলাম রানা: অভিজ্ঞ এই ডিফেন্ডার দলের পিছনের সারির ভরসা।
    • সাদেকুজ্জামান সাদেক: তরুণ এই গোলরক্ষক বেশ কয়েকটি ম্যাচে অসাধারণ পারফরমেন্স দেখিয়ে আলোচনায় এসেছেন।

    গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ:

    • প্রিমিয়ার লিগ ও বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের মতো পেশাদার লিগের প্রতিষ্ঠান স্থানীয় খেলোয়াড়দের নিয়মিত উচ্চমানের প্রতিযোগিতার সুযোগ দিচ্ছে।
    • বাফুফে একাডেমির কার্যক্রম তরুণ প্রতিভা বিকাশে ভূমিকা রাখছে।
    • আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলি ম্যাচ ও ফিফা ডে ম্যাচের সংখ্যা বৃদ্ধি দলকে বিশ্বমানের প্রতিপক্ষের সাথে খেলার অভিজ্ঞতা দিচ্ছে।

    বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে লিগের সর্বশেষ আপডেট পাওয়া যাবে।

    ভবিষ্যতের পথে: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার দ্বন্দ্ব

    ফুটবলে বাংলাদেশের সাফল্য: গৌরবের ইতিহাস কেবল অতীতের গর্বের স্মারক নয়, ভবিষ্যতের জন্য একটি রোডম্যাপও বটে। সেই গৌরবকে পুনরুজ্জীবিত করতে এবং নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে নিম্নলিখিত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও সুযোগ কাজে লাগানো জরুরি:

    প্রধান চ্যালেঞ্জসমূহ:

    • পেশাদারিত্ব ও সুশাসন: ফুটবল পরিচালনায় পূর্ণ স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রয়োজন।
    • অবকাঠামোর উন্নয়ন: আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ মাঠ, একাডেমি সুবিধা এবং স্টেডিয়ামের অভাব প্রকট। সারাদেশে গ্রাসরুট ফুটবলের জন্য মানসম্মত ছোট মাঠের প্রয়োজন।
    • আর্থিক স্ট্যাবিলিটি: দল, লিগ, ক্লাব এবং একাডেমিগুলোর জন্য টেকসই আর্থিক মডেল নিশ্চিত করা। স্পনসরশিপ বাড়ানো।
    • প্রশিক্ষকদের মানোন্নয়ন: স্থানীয় ও বিদেশি কোচদের সমন্বয়ে আধুনিক প্রশিক্ষণ পদ্ধতি চালু করা। স্থানীয় কোচদের উচ্চতর প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি করা।
    • বয়সভিত্তিক দলের ধারাবাহিকতা: অনূর্ধ্ব দলগুলো থেকে জাতীয় দলে খেলোয়াড় উত্তরণের একটি কার্যকর সিস্টেম গড়ে তোলা।

    সুযোগ ও সম্ভাবনা:

    • অতুলনীয় জনসমর্থন: বাংলাদেশে ফুটবলের প্রতি মানুষের ভালোবাসা ও আবেগ অপরিসীম। এই সমর্থনকে কাজে লাগানো গেলে বিশাল শক্তি হয়ে উঠতে পারে।
    • তরুণ জনগোষ্ঠী: বিপুল সংখ্যক তরুণ-তরুণী ফুটবলপ্রেমী। তাদের মধ্যে লুকিয়ে আছে অসংখ্য প্রতিভা। সঠিক স্কাউটিং ও উন্নয়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেই প্রতিভাকে উন্মোচন করা সম্ভব।
    • প্রাইভেট সেক্টরের সম্পৃক্ততা: বসুন্ধরা কিংস, ঢাকা আবাহনী, শেখ রাসেল কেসি, ঢাকা মোহামেডানের মতো ক্লাবগুলোর বিনিয়োগ ইতিবাচক। এই প্রবণতা আরও বাড়ানো দরকার।
    • ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম: সোশ্যাল মিডিয়া ও ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে ফুটবলকে তরুণ প্রজন্মের আরও কাছে পৌঁছে দেওয়া, খেলোয়াড়দের ব্র্যান্ডিং করা সম্ভব।
    • আঞ্চলিক শক্তির মর্যাদা: দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ ক্রমাগত প্রতিযোগিতামূলক। ভারত ও নেপালের সাথে লড়াই করে নিয়মিত শীর্ষ স্থান দখলের চেষ্টা জারি রাখতে হবে।

    ফুটবলে বাংলাদেশের সাফল্য: গৌরবের ইতিহাস আমাদের শেখায় যে অসম্ভব শব্দটি বাংলাদেশি ফুটবলের অভিধানে থাকা উচিত নয়। ১৯৯৫-এর সেই রাত, ৮৬-র এশিয়ান গেমসের লড়াই – এগুলো প্রমাণ করে যে সঠিক নেতৃত্ব, কঠোর পরিশ্রম, একাগ্রতা এবং জাতীয় ঐক্যের সম্মিলিত শক্তির কাছে সব বাধা অতিক্রম করা সম্ভব। বর্তমান প্রজন্মের খেলোয়াড়দের কাঁধে সেই গৌরবের উত্তরাধিকার বহন করার দায়িত্ব। আমাদের দায়িত্ব তাদের জন্য সর্বোচ্চ সমর্থন, সুযোগ এবং একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া। কারণ, বাংলাদেশি ফুটবল শুধু গোল আর ট্রফির খেলা নয়; এটি আমাদের স্বপ্ন, আবেগ এবং জাতিসত্তার প্রতিচ্ছবি। ফুটবলে বাংলাদেশের সাফল্য: গৌরবের ইতিহাস এর পরবর্তী অধ্যায় লেখার সময় এখনই। আসুন, আমরা সবাই মিলে আমাদের প্রিয় খেলার উন্নতির জন্য কাজ করি – স্থানীয় ক্লাব সাপোর্ট করে, তরুণ প্রতিভাদের উৎসাহ দিয়ে, সুশাসনের দাবিতে সোচ্চার হয়ে। কারণ, লাল-সবুজ জার্সির জয় মানেই সমগ্র বাংলাদেশের জয়।

    জেনে রাখুন

    • বাংলাদেশ ফুটবল দল কবে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে?
      বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল তাদের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ১৯৭৩ সালের ২৬শে জুলাই। ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে (তৎকালীন ঢাকা স্টেডিয়াম) থাইল্যান্ডের বিপক্ষে এই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ম্যাচটি শেষ হয়েছিল ২-২ গোলে ড্র অবস্থায়। এটি ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

    • বাংলাদেশের ফুটবলের সবচেয়ে বড় সাফল্য কোনটি?
      বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় এবং ঐতিহাসিক সাফল্য হলো ১৯৯৫ সালে অনুষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান ফুটার্স ফেডারেশন (সাফ) গোল্ড কাপ জয়। ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফাইনালে মালদ্বীপকে টাইব্রেকার পেনাল্টি শুটআউটে হারিয়ে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন হয়। এই জয় সারা দেশে অভূতপূর্ব উৎসাহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছিল।

    • বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা কে?
      বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা হলেন আশরাফুদ্দিন আহমেদ চুন্নু। তিনি তার ক্যারিয়ারে জাতীয় দলের জার্সিতে অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ গোল করেছেন, বিশেষ করে ১৯৭০ ও ৮০-র দশকের সোনালি সময়ে। তার গোল করার ক্ষমতা ও নেতৃত্ব তাকে বাংলাদেশ ফুটবলের কিংবদন্তিতে পরিণত করেছে।

    • বাংলাদেশ কখন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছে?
      বাংলাদেশ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে মোট তিনবার উঠেছে। প্রথমবার ১৯৯৫ সালে জয়ী হয়ে। এরপর ১৯৯৯ সালে (নেপালে, ভারতের কাছে ২-০ গোলে পরাজয়) এবং ২০০৩ সালে (ঢাকায়, ভারতের কাছে ১-১ ড্র, অতিরিক্ত সময়ে ভারতের গোলে ২-১ ব্যবধানে পরাজয়) ফাইনালে উঠলেও রানার্স-আপ হয়।

    • বাংলাদেশি ফুটবলের উন্নয়নে বাফুফে একাডেমির ভূমিকা কী?
      বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ফুটবল একাডেমি স্থাপন করেছে তরুণ প্রতিভা আবিষ্কার, প্রশিক্ষণ ও বিকাশের লক্ষ্যে। একাডেমি থেকে প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধা ও আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ভবিষ্যতের জাতীয় দলের খেলোয়াড় তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। এটি বাংলাদেশ ফুটবলের ভবিষ্যত গড়ার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যদিও এর ফলাফল পুরোপুরি পেতে আরও সময় ও সম্পদ প্রয়োজন।

    • বর্তমান বাংলাদেশ দলের উল্লেখযোগ্য তারকা খেলোয়াড় কারা?
      বর্তমান বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের উল্লেখযোগ্য তারকা খেলোয়াড়দের মধ্যে রয়েছেন:

      • জামাল ভূঁইয়া: দলের প্রধান স্ট্রাইকার, আন্তর্জাতিক ম্যাচে গোলদাতা।
      • মহিবুর রহমান সোহেল: মিডফিল্ডের মেরুদণ্ড, গোল ও সহায়তার ক্ষমতা সম্পন্ন।
      • তোফাজ্জল ইসলাম রানা: অভিজ্ঞ ও শক্তিশালী ডিফেন্ডার।
      • সাদেকুজ্জামান সাদেক: প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ গোলরক্ষক।
      • বিচানু বড়াল: রক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকা খেলোয়াড়।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ইতিহাস উন্নতি খেলাধুলা দল: প্রেম ফুটবল ফুটবলে বাংলাদেশের সংস্কৃতি সাফল্য:গৌরবের
    Related Posts
    খেলা চলাকালে বাবার মৃত্যুর খবর পেলেন ভেল্লালাগে

    খেলা চলাকালে বাবার মৃত্যুর খবর পেলেন ভেল্লালাগে

    September 19, 2025
    বাংলাদেশকে নিয়েই সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কা ,আফগানিস্তানের স্বপ্নভঙ্গ

    বাংলাদেশকে নিয়েই সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কা ,আফগানিস্তানের স্বপ্নভঙ্গ

    September 19, 2025
    সুখবর পেল বাংলাদেশ

    আফগানদের হারানোর পর সুখবর পেল বাংলাদেশ

    September 17, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Gas

    শুক্রবার ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

    ৫জি এবং ওয়াই-ফাই ৫

    ৫জি এবং ওয়াই-ফাই ৫-এর মধ্যে কী পার্থক্য

    খেলা চলাকালে বাবার মৃত্যুর খবর পেলেন ভেল্লালাগে

    খেলা চলাকালে বাবার মৃত্যুর খবর পেলেন ভেল্লালাগে

    চলতি সপ্তাহের শেষেই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য। দেশটির সরকারের উচ্চপর্যায়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য টাইমস।

    চলতি সপ্তাহ শেষেই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে ব্রিটেন

    রাজউক

    উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পের লটারি করল রাজউক

    স্বামী-স্ত্রী

    স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো রাখার সেরা উপায়

    বাংলাদেশকে নিয়েই সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কা ,আফগানিস্তানের স্বপ্নভঙ্গ

    বাংলাদেশকে নিয়েই সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কা ,আফগানিস্তানের স্বপ্নভঙ্গ

    নতুন সিনেমা ‘দেবী চৌধুরাণী’।

    জেন-জিদের যে পরামর্শ দিলেন শ্রাবন্তী

    DR Yunus

    জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে অনুমোদন পেল দুই অধ্যাদেশ

    নির্বাচন কমিশনের দুই আইন সংস্কার প্রস্তাবের অনুমোদন

    সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট দুটি আইন সংশোধনের প্রস্তাব

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.