কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে টানা দুই সপ্তাহের ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ী ঢলে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। গত দুইদিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত না থাকায় ধরলা, বারোমাসিয়া ও নীলকমলসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের ১৫ থেকে ২০ হাজার বানভাসী পরিবারের মাঝে স্বন্তি ফিরে এসেছে।
বুধবার বিকাল ও বৃহস্পতিবার দুপুরে সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ধরলার পানি কমলেও বানভাসিদের দুর্ভোগ কমেনি। ব্যাপক ক্ষতির মুখে রয়েছে মৎস্য ও কৃষি বিভাগ। টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ঠ বন্যায় উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ছোট বড় ৬’শ টি পুকুর ও জলাশয় তলিয়ে গেছে। এতে প্রায় ১২০ মেট্রিক টন মাছ ভেসে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৪৪ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানান উপজেলা মৎস্য দপ্তর।
অপর দিকে ৬টি ইউনিয়নের শতশত কৃষকের বীজতলা, আউশ ধান ও সবজি ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুর রশিদ জানিয়েছেন, উপজেলার ২৮০ হেক্টর জমির বীজতলা,৯০ হেক্টর জমির সবজি, ২৪০ হেক্টর জমির পাট ক্ষেত ও ১৯০ হেক্টর জমির আউশ ধান বন্যার পানিতে ডুবে যায়।
তিনি আরও জানান, মাঠ পর্যায়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে। দুই-এক দিনের মধ্যে জমি থেকে বন্যার পানি নেমে গেলে ফসল কিছুটা রক্ষা পাবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার কমেছে। যেহেতু ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি কমা শুরু হয়েছে। আশা করি খুব দ্রুত পানি কমে যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।