আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ শেষে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিশ্ব শেয়ারবাজার। দরপতনের পর আবার ঊর্ধ্বমুখী জ্বালানি তেল ও সোনার দাম। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের স্বাধীনতা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হওয়ায় ও আস্থাহীনতায় দরপতন ঘটছে মার্কিন মুদ্রা ডলারের। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববাজারে ডলারের দাম কমে তিন বছরে সর্বনিম্ন হয়েছে। খবর রয়টার্স, ট্রেডিং ইকোনমিকস।
ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শিগগিরই ফেডারেল রিজার্ভে নতুন প্রধান নিয়োগ দিতে যাচ্ছেন, সেই সঙ্গে বর্তমান চেয়ার জেরোমে পাওয়েলকে সুদের হার কমাতে চাপ দিচ্ছেন। কয়েক মাসের মধ্যে নতুন প্রধানের নাম ঘোষণা করতে পারেন ট্রাম্প। জেরোমে পাওয়েল আগামী বছরের মে মাসে স্বাভাবিকভাবেই বিদায় নেওয়ার কথা। এর আগেই এমন ঘোষণা নিয়ে আস্থাহীনতায় পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এর আগেও ট্রাম্প ফেড প্রধানকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। যার প্রভাব পড়ছে মুদ্রাবাজারে।
এ বছর আন্তর্জাতিক অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে ডলারের দর পড়েছে ১০ শতাংশের বেশি। গতকাল সবকটি প্রধান মুদ্রার বিপরীতে ডলারের মান কমেছে।
ইউরোর মান ০.২ শতাংশ বেড়ে ১.১ হাজার ৬৮৭ ডলারে উঠেছে; ২০২১ সালের অক্টোবরের পর যা সর্বোচ্চ। পাউন্ডের মানও ০.২ শতাংশ বেড়ে ১.৩ হাজার ৬৯০ ডলারে উঠেছে। ২০২২ সালের জানুয়ারির পর যা সর্বোচ্চ।
অন্যদিকে সুইস ফ্রাঁর বিপরীতে ডলারের মান ০.৮ হাজার ৩৩ হয়েছে, যা ২০১১ সালের পর সর্বনিম্ন। একই সঙ্গে ফ্রাঁ ইয়েনের বিপরীতেও রেকর্ড উচ্চতায় উঠেছে।
প্রতি ফ্রাঁর বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে ১৮০.৫৫। অন্যদিকে ডলারের মান ইয়েনের বিপরীতে ০.২ শতাংশ কমে ১৪৪.৮৯ হয়েছে। সেই সঙ্গে ডলার ইনডেক্স বা সূচকের মান ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির পর থেকে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে ৯৭.২৭ হয়েছে।
কিয়ারান আরো বলেন, ‘এ ধরনের পদক্ষেপ ফেডের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে। ফলে প্রতিষ্ঠানের বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। তেমনটা হলে সুদের হারের বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের নতুন ধারণা তৈরি করতে হতে পারে; সেই সঙ্গে ডলারে বিনিয়োগে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন হতে পারে।’
গত বুধবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ফেড চেয়ারম্যান পাওয়েলকে ‘শোচনীয়ভাবে খারাপ’ ও গড়পড়তা মেধার মানুষ হিসেবে আখ্যা দেন। অভিযোগ, পাওয়েল সুদের হার যথেষ্ট পরিমাণে হ্রাস করেননি। একই সময় সিনেটের সামনে বক্তব্যে ফেড চেয়ারম্যান বলছিলেন, ‘ট্রাম্পের শুল্কনীতি মূল্যস্ফীতির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এ ধরনের নীতি গ্রহণের বেলায় সতর্ক থাকতে হবে। অর্থাৎ ট্রাম্পের শুল্কনীতির কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যেতে পারে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।