ফেনীতে এক শিক্ষার্থীকে অপহরণের ঘটনায় দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় তিন আসামিকে ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এএনএম মোরশেদ খান এই রায় ঘোষণা করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ সালের (সংশোধিত ২০০৩) ৭/৩০ ধারায় এ রায় দেয়া হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ২৬ জুন ফেনী কম্পিউটার ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষার্থীকে ফেনী ক্যাডেট কলেজের সামনে রাস্তা থেকে অপহরণ করা হয়। আসামি আবু তৈয়বের নেতৃত্বে একটি দল তাকে সিএনজি থেকে জোরপূর্বক নামিয়ে মাইক্রোবাসে তুলে নেত্রকোনা শহরে নিয়ে যায়।
ঘটনার পরদিন ভিকটিমের বাবা জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঢাকার বিমানবন্দর এলাকা থেকে প্রধান আসামি তৈয়বকে গ্রেপ্তার করে এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করে ফেনীতে নিয়ে আসে। পরে ভিকটিম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন।
মামলার তদন্ত শেষে এসআই মো. আব্দুস সালাম চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় মোট আটজন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।
রায়ে আসামিদের মধ্যে সবুজকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। বাকি তিন আসামি- আবু তৈয়ব, শহিদুল ইসলাম ওরফে বাপ্পি এবং আব্দুর রহিম ওরফে সজিবকে দোষী সাব্যস্ত করে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া সেলিম আদালতে মামলা পরিচালনা করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।