বিনোদন ডেস্ক : চলতি বছর মুক্তি পায় জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিমের প্রথম ভারতীয় সিনেমা ডিকশনারি। সিনেমাটি পরিচালনা করেন নির্মাতা ও অভিনেতা ব্রাত্য বসু। আবারো মোশাররফ করিম এ পরিচালকের সিনেমায় কাজ করেছেন। এবারের সিনেমার নাম হুব্বা। এরই মধ্যে প্রথম লটের শুটিং শেষ হয়েছে। সিনেমাটিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে আছেন মোশাররফ করিম আর কলকাতা পুলিশের বেশে দেখা যাবে ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তকে। গতকাল প্রকাশ পেয়েছে হুব্বা সিনেমায় মোশাররফের লুক। নীল রঙের সিল্কের শার্ট, গলায় ও হাতে ভারী স্বর্ণালংকার আর আঙুলের ফাঁকে ধরা সিগারেট। সব মিলিয়ে অন্য রকম এক মোশাররফ করিম।
শুক্রবার মোশাররফের লুক নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাত্কারে ব্রাত্য বলেন, ‘ওর লুক সেটের সময়ে খেয়াল রেখেছিলাম, যাতে একই সঙ্গে ছিঁচকে ভাব ও আন্ডারওয়ার্ল্ডের প্রতিপত্তিশালী ডনের ছাপ দুটোই ফুটে ওঠে। তাই লুকটা এমনভাবে সেট করা হয়েছে, যেটা খুব মজার আবার কিছু ক্ষেত্রে নৃশংসও লাগবে। এটা তো বাঙালি ডনের চরিত্র। তাই সে ব্যাপারটাও মাথায় ছিল।’
এ সিনেমায় আইপিএস অফিসার দিবাকর মিত্রের চরিত্রে অভিনয় করা ইন্দ্রনীলের লুকও প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া হুব্বায় দেখা যাবে পৌলমী বসু, লোকনাথ দেকে। সিনেমাটির প্রযোজক ফিরদৌসুল হাসান বলেন, ‘প্রথম শিডিউলে আটদিনের শুটিং হয়েছে। কলকাতার আশপাশ, রাজারহাট ও দমদম অঞ্চলে বাকি শুটিং হবে। পরবর্তী শুটিং পূজার পর। অক্টোবরের মধ্যেই শুটিং শেষ করার পরিকল্পনা। আগামী বছরের এপ্রিল-মে মাস নাগাদ মুক্তি দেয়ার ইচ্ছা আছে।’
কলকাতার পুলিশ কর্মকর্তা সুপ্রতিম সরকারের লেখা জনপ্রিয় সিরিজ গোয়েন্দাপীঠ লালবাজারের ‘শ্যামলদা, ভালো আছেন?’ এ প্রবন্ধ অবলম্বনে চিত্রনাট্য লিখেছেন ব্রাত্য বসু।
পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার অন্ধকার জগতের একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন হুব্বা শ্যামল। নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে আবির্ভূত এই গ্যাংস্টার হুগলির দাউদ ইব্রাহিম নামেও পরিচিত ছিলেন। খুন, জখম, ড্রাগ পাচার ইত্যাদি বহু অপরাধে অপরাধী। অজস্র পুলিশ কেস ছিল তার নামে। একসময় হুব্বা নির্বাচনেও দাঁড়াতে চায়। তবে ২০১১ সালে হুব্বা শ্যামলের মরদেহ ভেসে ওঠে বৈদ্যবাটির খালে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।