জুমবাংলা ডেস্ক : সপ্তাহখানেক আগে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে দেশের নিম্নাঞ্চলগুলোতে বন্যার সৃষ্টি হয়। বৃষ্টির প্রবণতা কমে যাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে। তবে নদীর পানি কমতে শুরু করলেও রাস্তা-ঘাট, ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এতে ভোগান্তির অন্ত নেই ক্ষতিগ্রস্তদের।
এদিকে আবহাওয়া অফিস বলছে, মৌসুমি বায়ু বঙ্গোপসাগরে দুর্বল অবস্থায় থাকলেও বাংলাদেশে ফের সক্রিয় হয়েছে। এতে কয়েক দিনের বৃদ্ধি পাওয়া তাপমাত্রাকে হ্রাস করতে ভারী বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে। মানুষের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরতে পারে। এর ফলে আবারও বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সোমবার (২২ জুলাই) সকাল থেকে রাজধানীতে হাস্যোজ্জ্বল রোদের ঝিলিক দেখা যায়। হঠাৎ মেঘ উঁকি দিলেও আকাশ ছিল অনেকটাই পরিষ্কার। ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যায়।
আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম বলেন, ‘মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে মোটামুটি সক্রিয় হয়েছে। এটি ধীরে ধীরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিরাজ করতে পারে। তাই আগামী বুধবার (২৪ জুলাই) বা বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বৃষ্টির প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। ৩০ জুলাই পর্যন্ত এ বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৃদ্ধি পাওয়া তাপমাত্রা ধীরে ধীরে হ্রাস পাবে। বর্তমানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বিরাজ করছে, তা কমে ৩২ থেকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসতে পারে। তাপমাত্রা কমলেও গরমের প্রখরতা তেমনটা কমবে না। কারণ, এখন বর্ষা মৌসুম চলছে। এ সময় ভ্যাপসা গরম বিরাজ করে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।