গাড়ির ইতিহাস লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, অনেক ব্র্যান্ড গতির সর্বোচ্চ সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। প্রথমবারের মতো ১৯৮৭ সালে ফেরারি F40 মডেলের গাড়িটি ২০০ মাইল পার ঘন্টা পর্যন্ত পৌঁছে যেতে সক্ষম হয়েছিল।
এরপর ২০০৫ সালে বুগাত্তির ভিরন হাইপারকার ২৫০ মাইল প্রতি ঘন্টার সীমা ভেঙ্গে ফেলতে সক্ষম হয়। ২০১৯ সালে একই ব্র্যান্ডের অন্য একটি স্পোর্টস কার ৩০০ মাইল প্রতি ঘন্টা পর্যন্ত গতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল।
সব থেকে মজার ব্যাপার হল কেউ ভাবতে পারেনি যে, কেন মাত্র ৫০ মাইল প্রতি ঘন্টা বৃদ্ধি পেতে প্রায় ১৫ বছর লেগে গিয়েছিল। অ্যান্ডি ওয়ালেস বলেন, যে গাড়িটি ২৭০ মাইল প্রতি ঘন্টা গতিতে চলতে সক্ষম তাকে আপনি ২৮০ মাইল প্রতি ঘন্টা পর্যন্ত নিয়ে যেতে হলে উল্লেখযোগ্য এফিসিয়েন্সির প্রয়োজন রয়েছে।
সর্বোচ্চ গতি অর্জনের ক্ষেত্রে বায়ুর বাধা প্রতিকূলতা সৃষ্টি করে। ৩০০ মাইল প্রতি ঘন্টা গতি অর্জন করবে এরকম একটি গাড়ি তৈরিতে আপনার বিশাল একটি ইঞ্জিনের দরকার হবে। ৩০০ মাইল প্রতি ঘন্টায় পৌঁছানোর জন্য এক হাজার ৬০০ হর্সপাওয়ারের প্রয়োজন হবে।
এ ধরনের গতিতে গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হয়। সে ক্ষেত্রে টায়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ ধরনের উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে টায়ার নিয়ে অনেক গবেষণা করা হয়। তারপর টার্বোচার্জার ইঞ্জিনে বেশি বাতাস প্রবেশ করানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
রেকর্ড ব্রেকিং স্পিড অর্জন করার ক্ষেত্রে ইঞ্জিন এর আকার, আরপিএম এবং এফিসিয়েন্সির দিকে নজর রাখতে হয়। তবে ৩০০ মাইল প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত পৌঁছানোর ক্ষেত্রে বাতাসের বাধাটা বেশ সমস্যা তৈরি করে। এক্ষেত্রে গাড়ির ডিজাইন তৈরি করার পূর্বে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়ে থাকে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে সিমুলেশন প্রক্রিয়া চলতে থাকে। বোগাতি ব্র্যান্ডের গাড়ি ইতিমধ্যে ৩০০ মাইল প্রতি ঘন্টা স্পর্শ করতে সক্ষম হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে আরো নতুন রেকর্ড স্থাপিত হবে এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।