বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে ফেসবুক সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। সারাবিশ্বে এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা কয়েক কোটি। প্রচলিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় ফেসবুক।
এদিকে পাসওয়ার্ড ভুলে যাওয়ার সমস্যা নতুন কিছু নয়। একাধিক সোশ্যাল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেন অনেকে। সেখানে প্রতিটি অ্যাপের জন্য ব্যবহার করেন আলাদা আলাদা পাসওয়ার্ড। এতগুলো পাসওয়ার্ড মনে রাখার ঝামেলা তো আছেই, সেই সঙ্গে ভুলে গিয়ে আরও ঝামেলায় পড়তে হয়।
তবে খুব শিগগির পাসওয়ার্ড নিয়ে ঝামেলার দিন শেষ হচ্ছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম লগইন করতে লাগবে না কোনো পাসওয়ার্ড। শুধু এই দুটি অ্যাপ নয়, আরও বেশ কয়েকটি অ্যাপের ক্ষেত্রেও এ সুবিধা চালু হতে চলেছে।
গত ৫ মে ছিল আন্তর্জাতিক পাসওয়ার্ড দিবস। ওইদিনই গুগল, অ্যাপল এবং মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে একটি ঘোষণা করা হয়। সেটি হচ্ছে পাসওয়ার্ডলেস সাইন ইন পদ্ধতি।
প্রাথমিকভাবে সব বড় বড় প্ল্যাটফর্মে পাসওয়ার্ডলেস অথেনটিকেশন পদ্ধতি নিয়ে আসা হবে। পরে বাকি অ্যাপের সাইনইনের ক্ষেত্রেও এ পদ্ধতি চালু করা হবে।
এটি অ্যান্ড্রয়েড, আইফোন, এমনকি ডেস্কটপের ক্রোম, এডজ, সাফারি ব্রাউজার এবং ম্যাকওএসের ক্ষেত্রেও এ সুবিধা পাওয়া যাবে।
মূলত ব্যবহারকারীদের পাসওয়ার্ড মনে রাখতে বেশ সমস্যা হয়। সেই সমস্যা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্যই এ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এ ছাড়াও এ প্রযুক্তির মাধ্যমে আরও সুরক্ষিত থাকবে সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল। হ্যাকারদের ক্ষেত্রে আরও কঠিন হবে প্রোফাইল হ্যাকিং করা।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে কাজ করবে ফিচারটি-
এ ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের ফোনটিই হবে আসল অথন্টিকেশন ডিভাইস। সে ক্ষেত্রে তা ডিফল্ট হবে না। ব্যবহারকারীরা চাইলেই এ সিস্টেম চালু হবে। ফোনের ডিভাইস লক হবে ম্যান্ডেটরি। অর্থাৎ প্যাটার্ন, পিন, ফিঙ্গার প্রিন্ট এবং ফেস অথেনটিকেশনই হবে প্রধান অথেনটিকেশন। ফলে সেই ফোন থেকে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের মতো সামাজিক যোগাযোগের অ্যাপগুলোয় ঢুকতে আলাদা করে পাসওয়ার্ড দিতে হবে না।
এ পুরো প্রযুক্তির নাম রাখা হয়েছে পাসকি (Passkey)। যা ইউনিক ক্রিপ্টোগ্রাফিক টোকেন সিস্টেমের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। পাবলিক কি ক্রিপ্টোগ্রাফিকের (Public Key Cryptography) মাধ্যমেই পুরো কাজটি হবে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন সংস্থার সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞরা। সূত্র: দ্য ভার্জ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।