ফেসবুক লাইভে আরও যা বলেন ডা. ফেরদৌস

জুমবাংলা ডেস্ক : ফেসবুক লাইভে ফেরদৌস বলেন, কেমন আছেন আপনারা, আমি ডা. ফেরদৌস খন্দকার। আজকে আমি আমার প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ থেকে বলছি। গতকাল বিকেলে এসেছিলাম এক বুক আশা নিয়ে আপনাদের পাশে দাঁড়াবো বলে। আসার পর এয়ারপোর্টে বুঝতে পারলাম যে কিছু দুষ্ট মানুষ আমার পেছনে লেগে গেছে। যেহেতু আমার নামের পেছনে খন্দকার আছে সেহেতু তারা প্রচার করতে চেয়েছে আমি খুনি মোস্তাকের আত্মীয়, বলতে চেয়েছে খন্দকার রশিদেরও আত্মীয়। এসব নিয়ে খুব বেশি আমি চিন্তা করতে চাই না। তারপরেও আমি আসছি এরপরেও, আমি পরে কথা বলবো। আপনারা ভালো আছেন দেশবাসী? যুক্তরাষ্ট্রেও বাঙালি কমিউনিটির পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। যদিও ডিফিকাল্টি ছিল প্রথমে। আমি আপনাদের পাশে থাকবো, আপনারা আমায় গ্রহণ করবেন তো। আপনাদের পাশে আছি এই ক্রান্তি কালে।

ডা. ফেরদৌস সকালে বলেন, ‘আমি ৮ টি স্যুটকেস নিয়ে এসেছিলাম। বেশকিছু মাস্ক, গ্লাভস, পিপিই ইত্যাদি সামগ্রী ডাক্তার নার্স-দের দেবো বলে। কিন্তু এয়ারপোর্টে আটকে দিলো। ট্যাক্লস নাকি দিতে হবে। রেখেই দিলো। আনতে পারিনি। আপনাদের কেউ যদি থাকেন ছাড়াতে পারবেন। ছাড়িয়ে নিয়ে যান। ফ্রনটালাইনের যে কাউকে দিতে পারেন। আমার কোনো দাবি, আমি এসেছি আপনাদের পাশে, আমি কাজটুকু করতে চাই। আপনাদের মধ্যে যদি কেউ পারেন ছাড়িয়ে সেসব যে কোনো একটি হাসপাতালে দিয়ে দিতে পারেন। আমার কোনো দাবি নেই।’

ফেরদৌস বলেন, ‘আমি পরশুদিন থেকে রিয়েল করোনা নিয়ে কথা বলবো। আমার পরিবার নিয়ে কথা উঠেছে। দুটো কথা না বললেই নয়। আমার দাদা ১৯৪৯ সনে কলকাতায় মৃত্যবরণ করেন। তখন আমার বাবার বয়স খুবই কম, মাত্র ৪। আমার বাবারও আমার দাদার স্মৃতি মনে নেই। আমার দাদা এক ছিলেন, উনার দাদাও এক ছেলে ছিলেন রিয়াজ উদ্দিন খন্দকার। আমরা কুমিল্লার দেবিদ্বারের খুবই ছোট একটি গ্রামে থাকতাম। আমার নানী আমার বাবাকে উনার মেয়ের সাথে বিয়ে দেন। আব্বা এয়ারফোর্সে ঢোকেন। আমাদের পরিবারে আমি আর আমার ছোট দুটি বোন। আমরা শহরে চলে আসি। পরে আমরা আমেরিকা চলে যাই।’

নানার পরিবার সম্পর্কে বলেন, আমার মায়ের গ্রাম মুরাদনগরে। আমার নানা ছিলেন, কৃষ্ণপুর গ্রাম। আমার নানা ছিলেন সামরিক বাহিনীতে অ্যাকাউন্টস ডিপার্টমেন্টে। উনার ছয় ছেলে এক মেয়ে। আমার মা হচ্ছেন। উনার ছেলে (ফেরদৌসের মামা) ওখানকার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছিলেন। পরে ফার্মাসিস্ট হয়ে বিদেশে চলে গিয়েছেন। আমারিকাতে সেটেল্ড। দ্বিতীয় ভাই উনার মরহুম রেজা। খুব নামকরা মুক্তিযোদ্ধা। ঢাকারে বনানীতে। বাকি চার মামা আমেরিকা থাকে। আমার চার নম্বর মামার নাম মোস্তাক আহমেদ। তিনি জীবিত আছেন। বয়স ৫৩। এই মোস্তাকের সঙ্গে কিছু দুষ্ট লোক আমাদের খন্দকার যুক্ত করে দিয়েছে। একই সাথে আবার খুনি রশিদের সাথে নাম যুক্ত করে দিয়েছে। মানুষ যার যা যা ইচ্ছা বলতে পারে। কালিমা লাগাতে চেষ্টা করে। আমার মন্ত্রী এমপি হবার ইচ্ছে নেই।

ডা. ফেরদৌস বলেন, আমাকে যারা চেনেন, যারা জানেন আমি অনেক ছোটবেলা থেকে স্বেচ্ছাসেবী কাজ করি। যাই হোক, খন্দকার নাম হলেই সেটা মোস্তাকের ফ্যামিলি, অথচ লক্ষ লক্ষ লোক বাংলাদেশে আছে। তাই না? এটি কি ঠজিক বলুন আপনারা? এরকম একটি অভিযোগ দিয়ে আমি ঘরের মধ্যে বন্দি। আমি আজীবন বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। আমি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। তার মানে আমি বিরোধী মতের সমালোচনাতে আটকে যাইনি। আমি শুধু মুখেই বলিনি, আমি আমার পরিবারকে পেছনে ফেলে, নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশে এসেছি। আমি কিন্তু জানিও না, বাংলাদেশে চলে এসেছি। কবে প্লেন খুলবে জানি না। শুধু আপনাদের টানে এসেছি।

Write a Comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *