চাঁদপুর প্রতিনিধি: চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে এক মা ফেসবুক লাইভে এসে মেয়েকে ধর্ষণের বিচার চাইলেন।
ধর্ষিতার বড় বোন পরিচয় দেওয়া একজনের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভ করা হয়। এ সময় ধর্ষণের শিকার কিশোরীটিও পাশে বসে ছিল বলে দাবি করেন তিনি।
এর আগে গত ২৪ আগস্ট নির্যাতিত কিশোরীর মা বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে ওই দিনই পুলিশ উপজেলার পশ্চিম আলোনিয়া গ্রাম থেকে জসিম ঢালী ও আয়াত উল্লা নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায়।
থানায় করা অভিযোগে বলা হয়, ওই কিশোরী মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। গত ২০ আগস্ট নির্যাতনের শিকার হয় সে। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় সে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর স্থানীয় তুলাতলি বাজার এলাকায় মেয়েটিকে বিমর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে তার মা-বাবার কাছে তুলে দেন এলাকাবাসী। রাতে মেয়েটি মায়ের কাছে তার ওপর হওয়া পাশবিক নির্যাতনের কথা জানায়।
কিশোরীর পরিবারের দাবি, এ ঘটনার পর স্থানীয় প্রভাবশালীদের চাপে তাৎক্ষণিক মামলা না করতে পারলেও ২৪ আগস্ট তারা থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। কিন্তু প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরী ঘটনার বর্ণনা সঠিকভাবে দিতে ব্যর্থ হওয়ায় পুলিশ শেষ পর্যন্ত আটক দু’জনকে ৫৪ ধারায় আদালতে পাঠায়।
এদিকে, দু’দিন ধরে একটি ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে ওই কিশোরীর মা ও কিশোরীকে সঙ্গে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনা বর্ণনা করে অভিযুক্তদের নাম-পরিচয় প্রকাশ এবং তাদের বিচার দাবি করা হয়। এ সময় কিশোরীর মা তার মেয়ে ধর্ষণের শিকার বলে দাবি করেন। ওই ফেসবুক আইডির মালিক ফাতেমা রিপা নিজেকে ছাত্রলীগ নেত্রী দাবি করে বলেন, ‘আমি ঘটনা শুনে নিজে থেকেই নির্যাতিতদের বাড়িতে গিয়ে লাইভ করি। কারণ ঘটনাটি ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছিল।’
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রকিব জানান, কিশোরীর জবানবন্দি রেকর্ড করে তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চাঁদপুরে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করে দেখা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।