সাইকোলজিকাল সাইন্স জার্নালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি গবেষণ প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। গবেষণায় ফেসবুকে স্পর্শকাতর ও বিতর্কিত বিষয়ে বেশি না জড়াতে পরমর্শ দেওয়া হয়। সব থেকে ভালো হয় এসব বিষয় সামনা সামনি মোকাবেলা করার সক্ষমতা অর্জন করা।
স্পর্শকাতর ও বিতর্কিত বিষয়ে বেশি নাক গলালে ফেসবুকের অপর প্রান্তের ব্যক্তির সাথে ঝগড়া ও বিবাদ সৃষ্টি হতে পারে। ফেসবুকে এসব বিষয়ে কমেন্ট না করে ব্যক্তির সাথে সরাসরি যোগাযোগ করাই উত্তম।
সামাজিক মাধ্যমে অপর প্রান্তের ব্যক্তি আমাদের সামনে উপস্থিত থাকে না। ফলে তার মেজাজ ও মনোভাব বোঝা খুবই কঠিন। এজন্য আপনি যে মতামত প্রদান করবেন তা ওই ব্যক্তির পছন্দ নাও হতে পারে। এজন্য স্পর্শকতার বিষয় সামাজিক মাধ্যমে মোকাবেলা করা কঠিন।
ফেসবুকে আমরা প্রায় এ ব্যাপারে ভুল করে থাকি। ফলে অনেকের সাথে আমাদের সম্পর্ক নষ্ট হয়। এসব বিষয়ে কিবোর্ড থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। স্পর্শকাতর ও বিতর্কিত বিষয় ফেসবুকে কম শেয়ার দেওয়া উচিত।
গবেষকরা ৩০০ জন স্বেচ্ছাসেবক এর উপর জরিপ পরিচালনা করেন। তাদেরকে বিতর্কিত বিষয় পড়তে বলা হয় এবং যেসব বিষয় তারা একমত নন সে ব্যাপারে প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে।
গবেষণার ফলাফলে দেখা যায় কেউ যদি এমন বিষয়ে কথা বলে যার সাথে আপনি একমত নন সে বক্তব্য আপনার পছন্দ না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এক্ষেত্রে তার যুক্তি আপনি মেনে নিতে চাইবেন না।
বাস্তব জীবন এবং ফেসবুকের ভার্চুয়াল জীবনের মধ্যে বেশ পার্থক্য রয়েছে। বাস্তব জীবন থেকে মানুষ ফেসবুকে মাঝেমধ্যে সাহসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। তখন সে বুঝতে পারে না তার লেখার বিষয় অন্যদের বিরক্ত করতে পারে। তাই আপনি কি বার্তা দিচ্ছেন সে ব্যাপারে অবশ্যই আপনাকে সচেতন হতে হবে।
কাজেই চেষ্টা করুন যেন ফেসবুকে কারো সাথে অযথা তর্কে জড়াতে না হয়। এতে আপনার মর্যাদা এবং সম্পর্ক উভয়েই রক্ষা পাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।