বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : বর্তমানে স্মার্টফোন খুব বেশিদিন ব্যবহার করা যায় না। আর ফোন একটু পুরনো হলেই ব্যবহারের সময় অনেক স্মার্টফোনই গরম হয়ে যায়। আর ফোন গরম হলে তার প্রভাব পড়ে যন্ত্রাংশে। ফলে ফোনের ‘আয়ু’ আরও দ্রুত কমে আসে। তাই ফোন কেনার সময় স্পেসিফিকেশন দেখে ফোন নির্বাচন করাটাও জরুরি।
তবে কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে ফোনের তাপমাত্রা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
প্রসেসর: আপনি ফোনে কী কী কাজ করবেন আগে থেকেই ভেবে নিন। হোয়াটসঅ্যাপ, নেটমাধ্যমের ব্যবহার, সিনেমা দেখা, গান শোনা, গেম খেলাসহ সব মাথায় রেখে ফোনের মডেল নির্বাচন করুন। যদি গেম খেলতে চান, তাহলে শক্তিশালী প্রসেসর-সমৃদ্ধ ফোন কিনতে হবে। দুর্বল প্রসেসর ব্যবহার করা ফোন কিনলে তা দ্রুত গরম হবে।
অ্যাপ নির্বাচন: আপনার ফোনে যদি এমন কোনো অ্যাপ রয়েছে, যেগুলো ফোন ব্যবহার না করলেও ব্যাকগ্রাউন্ডে কাজ করতে থাকে তাহলেও কিন্তু ফোন গরম হয়। এমন অ্যাপ ফোন থেকে ডিলিট করলে ফোনের ওপর চাপ কম পড়বে।
চার্জে দিয়ে কাজ: ফোন চার্জে বসানোর সময় তাতে কোনো কাজ করবেন না। এতে ফোন গরম হওয়ার প্রবণতা বাড়ে।
নেটওয়ার্কের সমস্যা: ফোনের নেটওয়ার্কের সমস্যার কারণেও অনেক সময় ফোন গরম হয়। নেটওয়ার্ক দুর্বল হলে, ফোন সারাক্ষণ ভালো নেটওয়ার্ক খোঁজে। এতে ফোনের প্রসেসর এবং ব্যাটারির ওপর চাপ পড়ে। সে কারণেই ফোন গরম হয়। এমন হলে যে এলাকায় যেই পরিষেবা প্রদানকারীর নেটওয়ার্ক ভালো, তাদের সিম কার্ড ব্যবহার করা উচিত।
ছবি: অনেকেরই ফোনের ভেতর হোয়াটসঅ্যাপ, ই-মেইলে আসা প্রচুর ছবি, ভিডিও থাকে। এতেও ফোন গরম হতে পারে। যেগুলোর প্রয়োজন নেই, সেগুলো ডিলিট করে দিন। এতেও ফোন ঠান্ডা থাকবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।