বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : এখন যে মোবাইলগুলো বাজারে আসছে সেগুলোর একাধিক নতুনত্বের পাশাপাশি ব্যাটারির ক্ষমতাও বাড়ানো হচ্ছে। প্রায় প্রতিটি ফোনেই দেওয়া হচ্ছে 5000mAh ব্যাটারি। পাশাপাশি ফোনের চার্জিংয়ের সময় যতটা সম্ভব কম করার চেষ্টা করছে মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি। এরসঙ্গে একাধিক সফ্টওয়ারও বাজারে এনেছে প্রতিষ্ঠানগুলো, যেগুলোর মাধ্যমে চার্জিং স্পিড বাড়ানো সম্ভব হয়। অর্থাৎ কোনও মোবাইল ফোন ফুল চার্জ হতে যদি সময় লাগে ২ ঘণ্টা বিভিন্ন চার্জ বুস্টিং সফ্টওয়ার ব্যবহার করে তা কমিয়ে দেড় ঘণ্টায় করা সম্ভব।
কিন্তু আরও কয়েকটি ছোট ছোট বিষয় মাথায় রাখলেই ফোনের চার্জিং স্পিড বাড়ানো সম্ভব। মেনে চলুন এই বিষয়গুলো-
* Wifi এবং ব্লুটুথে প্রচুর ব্যাটারি অপচয় হয়। তাই ফোন চার্জ দেওয়ার সময় ওই অপশনগুলি চালিয়ে রাখলে একদিকে যেমন চার্জ হবে তেমন চার্জ শেষও হয়ে যাবে। তাই ফোন চার্জের সময় কোনও ভাবেই Wifi বা ব্লুটুথ অন করে রাখা একদম উচিত নয়।
অনেকে আছেন যারা ফোন চার্জ দেওয়ার সময়েও ফোন ব্যবহার করেন। অন্যদিকে অনেকে ক্যামেরা ব্যবহার করেন, এমনকী অনলাইন শপিংও সারেন তারা। কিন্তু এই কাজগুলির সময় ফোনে চার্জ হতে সময়ও লাগে বেশি। এমনকী, ফোন নষ্টও হতে পারে। তাই ফোন চার্জ দেওয়ার সময় অবশ্যই এই কাজগুলি করা বন্ধ রাখুন।
অনেকে একটি ফোনের সঙ্গে অন্য কোনও ব্রান্ডের ফোনের চার্জার ব্যবহার করেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে ফোন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি প্রতিটি মডেলের জন্য আলাদা আলাদা চার্জিং কেবেল এবং অ্যাডপ্টার তৈরি করে। ওই অ্যাডপ্টারগুলি নির্দিষ্ট ফোনের জন্যই তৈরি করা হয। তাই যে ফোনের জন্য যে অ্যাডপ্টার তৈরি করা হয়েছে শুধুমাত্র সেই অ্যাডপ্টারই ব্যবহার করা উচিত। এতে যেমন দ্রুত চার্জ দেওয়া সম্ভব হয় তেমনই ফোনটি দীর্ঘদিন ধরে ভালোভাবে ব্যবহার করাও সম্ভব হয়।
ফোনের স্ক্রিনলক বন্ধ রাখার পরও বেশ কিছু অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে। তাই সেই অ্যাপগুলি বন্ধ রাখা দরকার। ফোনের সেটিংসে গিয়ে দেখতে পারেন কোন কোন অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে চলছে। চার্জ দেওয়ার আগে সেই অ্যাপগুলি বন্ধ করে দিতে পারেন। এতে ফোন দ্রুত চার্জ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
বেশ কিছু চার্জার আছে যেগুলি ব্যবহার করলে অতি দ্রুত ফোনে চার্জ হয়। সাময়িকভাবে মনে হতে পারে এই চার্জারগুলি ব্যবহার করে লাভবান হচ্ছেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই অ্যাডপ্টার ব্যবহার করলে ব্যাটারির কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। চার্জ ধরে রাখার ক্ষমতাও কমে যায়। এবং ধীরে ধীরে ফোনটিও নষ্ট হতে থাকে। তাই এই ধরনের চার্জার না ব্যবহার করা উচিত।
ফোনের এরোপ্লেন মোড অন করে রাখলে ফোনের নেট পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাবে পাশাপাশি কল করাও যাবে না। এছাড়াও এরোপ্লেন মোড অন করার ফলে একাধিক অ্যাপ কাজ করা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেবে। এর ফলে ফোনের ব্যাটারি খরচ হবে কম। এবং চার্জ দ্রুত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ফোন চার্জ দেওয়ার সময় অবশ্যই ফোন এরোপ্লেন মোড অন করে রাখুন।
প্রায় অধিকাংশই রাতে শুতে যাওয়ার সময় ফোন চার্জে বসিয়ে দেন। ফোনের চার্জ সম্পূর্ণ হওয়ার পরেও সারারাত ধরে ফোনটি অ্যাডপ্টারের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। কিন্তু এতেই ধীরে ধীরে ক্ষতি হতে থাকে ফোনের ব্যটারির। শুধু তাই নয় পরবর্তীতে ফোনের চার্জ দেওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই সারা রাত কখনই ফোন চার্জ দেওয়া উচিত নয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।