ফোনে প্রশ্নের ছবি তুলে টয়লেটে গিয়ে সমাধান করে আনতো অফিস সহকারী

জুমবাংলা ডেস্ক : চলতি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রথম থেকেই প্রশ্ন দেওয়ার সাথে সাথেই মুঠোফোনে প্রশ্নে ছবি তুলে টয়লেটে গিয়ে সমাধান করে আনতো নোয়াখালীর সদর উপজেলায় শান্তির হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মো. নূর করিম (৩০)। অবশেষে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে হাতেনাতে ধরা খেয়েছেন।

পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। এছাড়াও দায়িত্বে অবহেলা করায় ওই পরীক্ষার কক্ষে দায়িত্বরত দুই শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয় ও সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বুধবার (১৭ মে) উপজেলার চর মটুয়া ইউনিয়নের পানামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বায়েজীদ-বিন-আখন্দ। দণ্ডপ্রাপ্ত মো. নূর করিম শান্তির হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, অফিস সহকারী মো. নূর করিমকে টয়লেটে প্রশ্নোত্তর লিখতে দেখেন কেন্দ্রে দায়িত্বরত একজন পুলিশ সদস্য। তিনি সাথে সাথে বিষয়টি মুঠোফোনে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বায়েজীদ-বিন-আখন্দকে জানায়। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে নূর করিমের মুঠোফোনে প্রশ্ন এবং সংশ্লিষ্ট উত্তর খুঁজে পান সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বায়েজীদ-বিন-আখন্দ।

তার মুঠোফোনে আজকের অনুষ্ঠিত ভূগোল ও পরিবেশ পরীক্ষার প্রশ্ন এবং সমাধানসহ পূর্বের সকল পরীক্ষার নৈর্ব্যক্তিক এবং সৃজনশীল পরীক্ষার প্রশ্ন এবং কাগজে লেখা উত্তর পাওয়া যায়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে আরো জানা যায়, দন্ডপ্রাপ্ত নূর করিম ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে স্বীকারোক্তি প্রদান করে যে, সে পরীক্ষার প্রশ্ন দেওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে প্রশ্নের ছবিগুলো তুলেছে। পরবর্তীতে নূর করিমকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন এবং ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। এছাড়া প্রশ্ন সরবরাহকারী সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও পরীক্ষার কক্ষে দায়িত্বে অবহেলা করায় দুই শিক্ষককে অব্যহতি প্রদান করা হয়।

সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বায়েজীদ-বিন-আখন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নূর করিম চলতি এসএসসির প্রথম পরীক্ষা থেকেই এভাবে প্রশ্নের ছবি তুলে সমাধান করতো। তার মুঠোফোনে পূর্বের অনুষ্ঠিত পরীক্ষা সমূহের ছবি ও উত্তর পেয়েছি। তবে তার সাথে অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা তার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আমরা তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটি এবং উত্তর সম্বলিত লিখিত কাগজটি আলামত হিসেবে জব্দ করেছি।