ফোবিয়া হলো একধরনের অযৌক্তিক ভীতি। যেমন লিফটে উঠতে ভয় ভয় লাগে। এর কোনো ভিত্তি নেই। কিন্তু কারও কারও মনের মধ্যে লিফটে ওপরে ওঠা বা নিচে নামার সময় মানসিক আতঙ্ক হয়। ফলে তাদের সিঁড়ি ভেঙে উঠতে হয়। কারও উচ্চতাভীতি থাকে। ১৫-২০ তলা ভবনে উঠলে মাথা ঝিমঝিম করে। ভয় লাগে। হয়তো তারা বোঝে যে ভয়ের কোনো কারণ নেই। কিন্তু তারপরও ভয় দূর হয় না। এটা যুক্তির ধার ধারে না। মনের অজান্তেই ফোবিয়া মনকে আতঙ্কিত করে তোলে।
এ ধরনের ফোবিয়া দূর করার জন্য মনে আস্থা সৃষ্টি করতে হবে। বিজ্ঞানমনস্কতা এ ক্ষেত্রে বেশ সাহায্য করতে পারে। যুক্তি দিয়ে যদি বুঝতে পারি যে এ ধরনের ভীতির কোনো ভিত্তি নেই, থাকতে পারে না, তাহলে মন শক্ত হয়। অকারণ ভীতি দূর হয়।
অনেক সময় জীবনধারণ পদ্ধতি বদলে ফেলতে হয়। যেমন কেউ হয়তো ১৫ তলা ভবনে চাকরি করেন অথবা কারও অফিসের বস হয়তো খুব কঠোর নিয়মকানুন মেনে চলতে বাধ্য করেন। এর ফলে কারও মনে অফিস সম্পর্কে একধরনের ফোবিয়া তৈরি হয়। এসব ক্ষেত্রে অফিস বদলে ফেললে ফোবিয়া দূর হতে পারে।
কারও স্কুলভীতি, পরীক্ষাভীতি থাকে। এর অবশ্য কিছু কারণ থাকতে পারে। অনেক স্কুলে শিক্ষার্থীদের সামান্য ভুলত্রুটির জন্য শিক্ষকেরা শাস্তি দেন। ফলে ভীতি তৈরি হয়। এ ধরনের সমস্যা দূর করার জন্য শিশুদের ওপর যেকোনো ধরনের শারীরিক শাস্তি বন্ধ করা দরকার। আমাদের দেশে সরকার আইন করে এ ধরনের শাস্তি নিষিদ্ধ করেছে।
বাসায় মা-বাবা ও পরিবারের অন্য সদস্যদেরও দায়িত্ব আছে। সন্তানকে কখনো বকাঝকা করা উচিত নয়। ভুল করলে তাকে বুঝিয়ে বলতে হবে। মারধর করলে ফোবিয়া সৃষ্টি হতে পারে। যদি কোনো কারণে ফোবিয়া স্থায়ী অসুখে পরিণত হয়, তাহলে চিকিত্সকের কাছে যেতে হবে। সামান্য চিকিত্সায় ভালো হওয়া সম্ভব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।