ফ্রান্সে বাজেটের কাটছাঁট ও রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে শিক্ষক, পরিবহন শ্রমিক, চিকিৎসক ও সরকারি কর্মকর্তাদের ধর্মঘট অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই সময় ফিলিপাইনে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে সাধারণ মানুষ ব্যাপক বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ফ্রান্সজুড়ে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ধর্মঘটকে দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ধর্মঘট হিসেবে দেখা হচ্ছে। শিক্ষাব্যবস্থা, রেল ও বিমান যোগাযোগ ব্যাহত হয়েছে। প্রায় আট লাখ মানুষ আড়াইশর মতো বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন। ৮০ হাজারের বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ট্রেড ইউনিয়নগুলো নতুন প্রধানমন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লেকর্নুর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে এক বিরল ঐক্য প্রদর্শন করেছে।
বিক্ষোভকারীরা ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমমানুয়েল মাখোঁর ওপর ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। পার্লামেন্টে বাজেট নিয়ে আস্থা ভোটে মাখোঁর পছন্দের প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করতে বাধ্য হওয়ার পর দুই বছরের কম সময়ে পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করা হয়েছে। ফলে দেশটির রাজনৈতিক অবস্থা নড়বড়ে রয়েছে।
ফিলিপাইনে অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত ও বন্যা জনজীবন বিপর্যস্ত করেছে। তবে দুর্ভোগ কেবল প্রকৃতিক নয়; এতে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগও সামনে এসেছে। স্কুলশিক্ষিকা ক্রিসা টোলেন্তিনো বলেন, “আমার মনে হচ্ছে আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। আমরা কঠোর পরিশ্রম করি, কর দিই, কিন্তু সেই টাকা দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদরা হাতিয়ে নিচ্ছে।”
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাধারণ মানুষ তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করছে। অভিযোগ উঠেছে, প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ও ঠিকাদাররা ভুয়া প্রকল্প বানিয়ে সরকারি তহবিল আত্মসাৎ করছেন। পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে আগামী রোববার দেশজুড়ে দুর্নীতিবিরোধী একটি বিশাল বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।