লাইফস্টাইল ডেস্ক: কোরবানির পশুর মাংস তাজা ও টাটকা রাখাটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আর সেটা তখনই সম্ভব হয় যখন মাংসটা সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা যাবে। কোরবানির মাংস বাসায় আসার পর খোলা অবস্থায় অনেকক্ষণ ফেলে না রেখে ৪-৫ ঘণ্টার মাঝেই তা সংরক্ষণ করতে হবে। তবে সেটা এমনভাবে করতে হবে, যেন এর স্বাদ ও পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ণ থাকে।
পশু জবাই করার সঙ্গে সঙ্গেই মাংস ফ্রিজে না রাখাই ভালো। কারণ এরপর অন্তত চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা মাংস শক্ত থাকে। মাংস একটু নরম হওয়ার পর ধুয়ে পানি ভালো করে ঝরিয়ে ফ্রিজে রাখতে পারেন। এতে ফ্রিজে রাখলে অনেক দিন ভালো থাকবে।
ফ্রিজে মাংস রাখার আগে তাপমাত্রা ঠিক আছে কি-না চেক করতে হবে। ফ্রিজে একই সঙ্গে যেমন মাছ ও মাংস রাখা যাবে না। এমনকি কাঁচা ও রান্না করা মাংসও একসঙ্গে রাখবেন না জীবাণুর আক্রমণ ও ক্রস-কন্টামিনেশনের ঝুঁকি এড়াতে।
সব মাংস একসঙ্গে না রেখে ছোট ছোট প্যাকেট করুন। এতে মাংস বরফ হবে কম সময়েই, পুষ্টিগুণও নষ্ট হবে কম। এছাড়া মাংস বের করতেও সুবিধা হবে। তবে গোল করে চেপে প্যাকেট না করে বিছিয়ে প্যাকেট করলে তাড়াতাড়ি বরফ হয়ে বেশি দিন ভালো থাকে। তবে কোনো অবস্থায়ই কাগজে মুড়িয়ে, খোলা বাটি বা ট্রেতে মাংস ফ্রিজে রাখবেন না।
ফ্রিজে রাখার সময় বড় চাকা মাংস না রেখে টুকরো করে রাখতে হবে। আবার একদম ছোট টুকরো করলে ভেতরে পানি জমে থাকে এবং ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে। তাই ফ্রিজে মাংস রাখার আগে রক্ত, চর্বি, পানি পরিষ্কার করে ঝরিয়ে নিতে হবে।
মাংস রাখার একদিন পর ফ্রস্ট ফ্রিজের ক্ষেত্রে প্যাকেটগুলো একটু নড়িয়ে দিতে হবে যেন শক্তভাবে না লেগে যায়। ইলেক্ট্রিসিটি চলে গেলে বারবার ফ্রিজ না খোলাই ভালো।
কাঁচা অবস্থায় মাংস ডিপ ফ্রিজে মাইনাস ১৮ থেকে মাইনাস ২২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপে রাখতে হবে। এভাবে গরুর মাংস ৮-১০ মাস, খাসির মাংস ৫-৬ মাস, উট, মহিষ ৬ মাস, ভেড়া রাখা যাবে ২-৩ মাস। মাথা, মগজ ও কলিজা বেশিদিন ফ্রিজে না রাখাই ভালো।
তবে সবকিছু ১-৩ মাসের মাঝে সব কিছু অবশ্যই শেষ করে ফেলা উচিত, কারণ যতদিন যাবে খাবারের গুণগত ও পুষ্টিগত মান ততই কমতে থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।