রফিক সরকার : অমর একুশে গ্রন্থমেলায় বেরিয়েছে লেখক অসীম হিমেলের ৪র্থ উপন্যাস ‘খেদু মিয়া’। বই মেলাযর অন্য প্রকাশের ০৮ নং প্যাভিলিয়নে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও রকমারি ডটকমে অর্ডার করে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে বইটি সংগ্রহ করা যাবে।
‘খেদু মিয়া’ উপন্যাসটি লেখকের ৪র্থ উপন্যাস। বইটি প্রকাশ করেছে অন্য প্রকাশ। এর আগে একই লেখকের ‘মেজো কুমার এক সন্ন্যাসী রাজা’, ‘মধ্যরাতের অভিযান’ (কিশোর অভিযান), ‘জোছনায় নীল আকাশ’ নামের তিনটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। খেদু মিয়ার প্রচ্ছদ করেছেন মাসুম রহমান। ১২০ পৃষ্ঠার উপন্যাসটির দাম মাত্র ২৮০ টাকা।
সাইকোলজি, পেরাসাইকোলজি আর মেডিকেল সায়েন্স এর এক অসাধারণ সমন্বয়ে লিখিত অলৌকিক ভৌতিক কাহিনি খেদু মিয়া। গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র খেদু মিয়া, যিনি পেশায় একজন ডাক্তার ও ফরেনসিক মেডিসিনের এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর। তার জীবনটা অন্য দশটা সাধারণ মানুষের মতো স্বপ্ন আর আনন্দ নিয়ে শুরু হলেও অচিরেই অনুভব করলো তার ভেতরে থাকা অলোকিক, অতিমানবীয় কিছু গুণাবলী আর অশরীরী আত্মার। যার দরুন মৃত মানুষের কথা তিনি অবলীলায় শুনতে পেতেন।সেই অশরীরী শক্তি তাকে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে না দিলেও তাকে দিয়েছিল অপ্রত্যাশিত নামডাক, যশ, খেতি। যে কোন রহস্য উদঘাটনে খেদু মিয়া ছিল অপ্রতিদ্বন্দ্বী।
গল্পের আরেক অন্যতম চরিত্র তিথি নামের এক সুন্দরী, হাস্যোজ্জল যুবতী যে সাইকোলজি বিভাগের ছাত্রী। ধীরে ধীরে সে জানতে পারে তার ভেতরে গ্রাস করছে এক ভয়ংকর, জটিল মানসিক রোগ যার কারণে সে মৃতদেহ স্পর্শের তীব্র আকর্ষণ বোধ করে। এক অশরীরী আত্মা তাকে ধীরে ধীরে গ্রাস করে নিয়ে যায় এক অস্বাভাবিক জীবনের দিকে, মৃত্যুর দিকে।কিন্তু তিথিও স্বপ্ন দেখে সুন্দরভাবে বেচে থাকার। আর বেচে থাকার তীব্র আকাংখা নিয়ে সে খেদু মিয়ার দারস্থ হয়, সাহায্য চায়। এমনই এক টান টান উত্তেজনা আর আর কিছুটা ভয়, শংকার দোলাচলে আবর্তিত উপন্যাস খেদু মিয়া।
অসীম হিমেল ১৯৮১ সালের ০৫ সেপ্টেম্বর গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি বিসিএস সরকারী চাকুরীর সুবাদে স্বাস্থ্য বিভাগে অর্থপেডিক্স সার্জন হিসেবে কর্মরত আছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।