বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করেছিলেন : পলক

জুমবাংলা ডেস্ক: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধস্ত বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করেছিলেন।

ফাইল ছবি

তিনি বলেন,ভাষা,সংস্কৃতি ও শিক্ষা আন্দোলন থেকে শুরু করে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা উপহার দিয়েছিলেন। মাত্র সাড়ে ৩ বছরে তিনি ধ্বংস-প্রাপ্ত রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, রেললাইন, পোর্ট সচল করে অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করেছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী আজ বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে তথ্য ও যোগাযোগ  প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

পলক বলেন,সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে ১০ মাসের মধ্যে বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রপরিচালনার মূল সংবিধান উপহার দিয়েছেন। বিশ্বের এখনো অনেক স্বাধীন দেশ আছে যাদের সংবিধান রচনা হয়নি।

তিনি বলেন,‘ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৩ বছরের মধ্যে সারাবিশ্বকে তাক লাগিয়ে ৪০ শতাংশ বিদ্যুতের দেশকে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় এনেছেন। যেখানে ৫৬ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল,আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের যুগপোযোগী পরিকল্পনা ও সুপরামর্শে  ব্রডব্যন্ড কানেক্টিভিটি ইউনিয়ন পর্যন্ত পৌছে গেছে।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা  ১৩ কোটি দাঁড়িয়েছে। প্রযুক্তিগত উন্নয়নের কারণে করোনাকালীন স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিচারিক কাজ চলমান রাখা সম্ভব হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী এসময় বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রযুক্তি শক্তিকে কাজে লাগিয়ে উদ্ভাবনী বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিজেদের আত্মনিয়োগ করতে সবার প্রতি আহবান জানান।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক ড.মো: আব্দুল মান্নান,বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ,ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি’র মহাপরিচালক মো: খায়রুল আমীন, তথ্য ও যোগাযোগ  প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, কন্ট্রোলার অব সার্টিফাইং অথরিটিজের নিয়ন্ত্রক আবু সাঈদ চোধুরী।

অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলা একাডেমির সভাপতি ও বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। সূত্র: বাসস