জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক দিয়ে বাড়ি যাচ্ছে মানুষ। এতে সড়কে যাত্রী ও যানবাহনের চাপে কালিহাতী উপজেলার শল্লা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ৫১ হাজার ৮৯১টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৬৫ লাখ ৩১ হাজার ৪৫০ টাকা।
রোববার (১৬ জুন) সকালে বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫১ হাজার ৮৯১টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৬৫ লাখ ৩১ হাজার ৪৫০ টাকা।
এর মধ্যে টাঙ্গাইলের সেতু পূর্বে ৩৪ হাজার ২৩৬টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর বিপরীত টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ২২ লাখ ১০ হাজার ৪৫০ টাকা এবং সিরাজগঞ্জের সেতু পশ্চিমে ১৭ হাজার ৬৬৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর বিপরীত টোল আদায় ১ কোটি ৪৩ লাখ ২১ হাজার টাকা।
এর আগে শনিবার গত ২৪ ঘণ্টায় তিন কোটি ৮০ লাখ ৬৩ হাজার ৪০০ টাকা আদায় করে সেতু উদ্বোধনের ২৬ বছরে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করে। ওই দিন ৫৩ হাজার ৪০৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। সেতু উদ্বোধনের পর এর চেয়ে বেশি টোল কখনো আদায় হয়নি বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, ‘এবারের ঈদ যাত্রায় গত ২৪ ঘণ্টায় তিন কোটি ৬৫ লাখ ৩১ হাজার ৪৫০ টাকা টোল আদায় করা হয়েছে। এতে ৫১ হাজার ৮৯১টি যানবাহন পারাপার হয়। এটি সেতু উদ্বোধনের টোল আদায়ে দ্বিতীয় রেকর্ড।’
২০২৩ সালের ২৮ জুন ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ এক দিনে সেতুর ওপর দিয়ে ৫৫ হাজার ৪৮৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছিল। এসব যানবাহন থেকে টোল আদায় হয় তিন কোটি ৫৮ লাখ ৪০ হাজার ২০০ টাকা। এটিই ছিল সর্বশেষ এ সেতুর টোল আদায়ের রেকর্ড। এর পর চলতি বছরের গত ১৫ জুন ২৪ ঘণ্টায় তিন কোটি ৮০ লাখ ৬৩ হাজার ৪০০ টাকা ছিল সর্বশেষ টোল আদায়ের নতুন রেকর্ড।
১৯৯৮ সালের ২৩ জুন বঙ্গবন্ধু সেতু উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের পর থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গের ২৩টি জেলার যানবাহন চলাচল করে থাকে। স্বাভাবিকভাবে গড়ে প্রতিদিন ১৩ থেকে ১৫ হাজার যানবাহন সেতুটি দিয়ে পারাপার হয়। ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবের ছুটিতে পরিবহনের সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েক গুণ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।