জুমবাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু তাঁর আদর্শ ও দর্শন প্রতিষ্ঠার জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি এই সংগ্রামী জীবনের যোগ্য সঙ্গ ও প্রেরণা পেয়েছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নিকট থেকে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শন প্রতিষ্ঠা করাই হোক তরুণ প্রজন্মের প্রত্যয়।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২২ উপলক্ষে আজ রাজধানী ঢাকাস্থ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গোপালগঞ্জ সমিতি, ঢাকা আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
গোপালগঞ্জ জেলা সমিতি, ঢাকার সভাপতি শেখ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন গোপালগঞ্জ জেলা সমিতির প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নার্গিস রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মোঃ খসরুজ্জামান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শারফুদ্দিন আহমেদ এবং গোপালগঞ্জ জেলা সমিতির ট্রেজারার এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার বক্তব্য দেন।
গোপালগঞ্জ জেলা সমিতি, ঢাকার সাধারণ সম্পাদক সাবেক সচিব শৈলেন্দ্র মজুমদার সভায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, শিশুকাল থেকেই বঙ্গবন্ধু দুঃখী মানুষের কষ্ট লাঘবে সচেষ্ট ছিলেন। তিনি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই সর্বদা বাঙালির অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করে গেছেন।
স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরের দিনই বাঙালির নিজস্ব সংবিধান রচনার জন্য আদেশ জারি করেন এবং নয় মাসের মধ্যেই সংবিধান রচিত হয়। শিশুদের জন্য আন্তর্জাতিক কনভেনশন গঠনের আগেই তিনি ১৯৭৪ সালে শিশুদের জন্য আইন করেছিলেন, স্থল ও সমুদ্রসীমা বিষয়ক আইনগুলোও তাঁর শাসনামলেই শুরু হয়েছিল। এই আইনগুলোর সুফল বর্তমানে বাংলাদেশের জনগণ পাচ্ছে।
তিনি বলেন, শোষিত -বঞ্চিত- নিপীড়িত- মানুষকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির জন্য সুদীর্ঘ ২৩ বছর বঙ্গবন্ধু আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন, দেশের প্রয়োজনে তিনি পরিবার-পরিজনের মায়া ত্যাগ করে মাতৃভূমির মঙ্গলের জন্য কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনকে হৃদয়ে ধারণ করে নবীনদেরকে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে উদ্যোগী হতে আহবান জানান স্পীকার।
এ আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ই আগস্টের সকল শহীদদের স্মরণে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ মওলানা মুফতি মোতাহার হোসেন।
আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে গোপালগঞ্জ জেলা সমিতি, ঢাকার সদস্যবৃন্দ, আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীবৃন্দ এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ ও গণমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।