জুমবাংলা ডেস্ক: স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর বাঙালী জাতীয় জীবনের গৌরবময় উজ্জ্বলতম দিন। এই দিনে বঙ্গবন্ধু বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম সংবিধান প্রণয়ন করেছিলেন। এই সংবিধান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও দর্শনের পরিপূর্ণ প্রতিফলন। তাই সংবিধানের সঠিক প্রয়োগ ঘটিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে সকলকে আত্মনিয়োগ করতে হব।
আজ রাজধানী ঢাকার সুপ্রীম কোর্ট জাজেস স্পোর্টস কমপে¬ক্সে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হবার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের বিচারপতি মো: নুরুজ্জামান, গণপরিষদ এবং খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার এম.আমির-উল ইসলাম, সুপ্রীম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো: মমতাজ উদ্দিন ফকির, অ্যাটর্নী জেনারেল আবু মো: আমিন উদ্দিন, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো: আবু জাফর সিদ্দিকী এবং বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম।
জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘এই শাসনতন্ত্র শহীদের রক্ত দিয়ে লেখা’- উল্লে¬খ করে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আরো বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান কারো দান, অনুকম্পা বা কোন সন্ধি-আলোচনার মাধ্যমে পাওয়া যায়নি। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই সংবিধান বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংবিধান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের অব্যবহিত পরে সকল বাঙালীকে উপহার দিয়েছিলেন এই সংবিধান।
তিনি বলেন, আইনের শাসন সমুন্নত রেখে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর মাধ্যমে সংবিধানের সুফল সকলের নিকট পৌঁছে দিতে পারলেই এই সংবিধান অর্থবহ হবে।
তিনি বলেন, ৭২-এর সংবিধান আমাদের জাতির দীর্ঘ ২৪ বছরের আন্দোলনের ফল। নয় মাসের মধ্যে সংবিধান প্রণয়ন এক অনন্য অর্জন। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে সংবিধানের মূল ধারণাগুলোকে ছড়িয়ে দেওয়াই হোক-এই সুবর্ণজয়ন্তীর প্রত্যয়। পরে স্পিকার ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানের অনুকরণে মুদ্রিত বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক প্রকাশিত স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন এবং সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সকল সদস্যদেরকে সম্মাননা স্মারক ও স্মারক গ্রন্থ প্রদান করেন।
সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো: শহীদুজ্জামান সরকার এমপি, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি এমপি, সাবেক এমপি তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।