প্রবাস ডেস্ক: যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২১ পালন করেছে মরিশাসের পোর্ট লুইসে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন।
এ উপলক্ষে ১৫ আগস্ট জাতীয় পতাকা অর্ধ-নমিতকরণ, কালো ব্যাজ ধারন, বিশেষ মোনাজাত, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ, এক মিনিট নিবরতা পালন, বাণী পাঠ এবং বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের নানাদিক তুলে ধরে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় মরিশাসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সড়ক ও রেল মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এলান গানু প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
দিবসের শুরুতে মান্যবর হাইকমিশনার মিজ রেজিনা আহমেদ সকলের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রম সূচনা করেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
এসময় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণীসমূহ পাঠ করা হয়।
বিকালে আলোচনা সভার শুরুতেই মান্যবর হাইকমিশনার প্রধান অতিথিকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পন করেন এবং সকলে এক মিনিট নিবরতা পালন করেন। চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর উপর নির্মিত বিশেষ প্রামান্য চিত্র “সোনালী দিন” প্রদর্শন করা হয়।
হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ প্রথমেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের কালো রাতে শহীদ সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
তিনি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ট নেতৃত্বে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে বিশ্ব পরিমন্ডলে বাঙালী জাতির পরিচয়ের গৌরব প্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি আরও বলেন যে, আজ বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু আমরা তাঁর স্বপ্নকে ধারন করছি এবং তা পূরণে বদ্ধ পরিকর।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন যে, ‘১৯৭২ সালে আমি যখন লন্ডনে আইনের ছাত্র ছিলাম তখন বিবিসিতে বঙ্গবন্ধুর একটি সাক্ষাতকার আমাকে আন্দোলিত করে। আমি দেখিছি যে, তিনি তাঁর জনগণের জন্য কতটা উদ্বিগ্ন এবং নিবেদিত।’
এলান গানু আরও বলেন, এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ দ্রুততম অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করায় আগামী এক দশকের মধ্যেই উন্নত বিশ্বের মর্যাদা লাভ করবে।
তিনি বলেন, মরিশাস সরকার মানবতার প্রতি বঙ্গবন্ধুর অবদানের জন্য পোর্ট লুইসে “শেখ মুজিব স্ট্রীট” নামে একটি রাস্তার নামকরণ করেছে।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, মরিশাস এবং বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান বর্তমান সম্পর্ক সামনের দিনগুলোতে আরো সুদৃঢ় হবে।
অনুষ্ঠানে সাবেক ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি, লর্ড মেয়র, পোর্ট লুইস, দক্ষিন আফ্রিকা, মিশর, জাপান এবং চায়নার রাষ্ট্রদূতগণ, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ইন্ডিয়া, ঘানা, সৌদি আরব, লিবিয়া ও মাদাগাস্কার মিশনের প্রতিনিধিবর্গ, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, আইওআরা, মরিশাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, প্রবাসী বাংলাদেশী এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গত ৭ আগস্ট ভ্যালিপিটোতে মরিশাসের উপ-প্রধানমন্ত্রী জনাব আনোয়ার হসনু-কে সাথে নিয়ে ৩৫জন দুস্থ ব্যক্তিদেরকে বাংলাদেশি খাদ্য সামগ্রী সহায়তা করা হয় এবং ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ এ শাহাদত বরণকারী সকল শহীদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সকলের সুস্থতা কামনা করে দোয়া করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।