
ঢাকার বাসিন্দাসহ দেশের সাধারণ মানুষ এখনও ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারছে না। এরমধ্যে নতুন উদ্বেগের খবর এলো বঙ্গোপসাগর থেকে। আগামী ২৬-২৭ নভেম্বর দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে (আন্দামান ও নিকবার দ্বীপের দক্ষিণ পাশে) লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, যা পর্যায়ক্রমে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ রবিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ তথ্য জানান। তিনি উল্লেখ করেছেন, “লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে ঘূর্ণিঝড়টি কতটা শক্তিশালী হবে এবং কোন স্থানে আঘাত করবে তা নিয়ে বিভিন্ন দেশের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল ভিন্ন রকম পূর্বাভাস দিচ্ছে।”
গবেষক পলাশ আরও সতর্ক করে বলেছেন, আবহাওয়া সংক্রান্ত সকল পূর্বাভাস নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট বিভাগ আগাম সতর্কতা ও প্রস্তুতি নিতে পারে।
এ পরিস্থিতিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন জনসাধারণকে নিয়মিত সতর্কবার্তা প্রদানের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য থেকে শুরু করে বাংলাদেশের চট্রগ্রাম উপকূলের মধ্যবর্তী যেকোনো স্থানের উপর দিয়ে উপকূলে আঘাত করার আশঙ্কা করা যাচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে, ২৬ নভেম্বর অধিক নিশ্চয়তা সহকারে জানা যাবে সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড়টি কেমন পরিমাণে শক্তিশালী হবে ও কোন স্থানের ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করবে।
পোস্টে তিনি কিছু পরামর্শও দেন। নিম্নে তা উল্লেখ করা হলো:
কৃষকদের জন্য পরামর্শ: সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে ডিসেম্বর মাসের ৩ তারিখ থেকে ৫ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশের ওপরে হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টিপাতের প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে। ফলে জমিতে থাকা পাকা আমন ধান কাটা ও মাড়াই করা শেষ করার পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে। শীতকালীন শাক-সবজি চাষিরা সম্ভব্য এই বৃষ্টিপাতের কথা মাথায় রেখে বীজ বোনা ও জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখার জন্য পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে। ডিসেম্বর মাসের ২ তারিখ পর্যন্ত জন্য রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া বিরাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে পুরো দেশে।
সমুদ্রগামী জেলাদের জন্য পরামর্শ: ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখের পর থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগরের সমুদ্র উত্তাল হওয়ার শুরু করার আশঙ্কা করা যাচ্ছে। ১ ডিসেম্বরের মধ্যে উপকূলে ফেরার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখার পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে সমুদ্রে মাছ ধরা সকল ট্রলারকে। ৩০ নভেম্বরের পরে নতুন করে সমুদ্রে মাছ ধরতে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণ আবহাওয়া পূর্বাভাস: ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখের পর থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগরের সমুদ্র উত্তাল হওয়ার শুরু করার আশঙ্কা করা যাচ্ছে। ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে ৫ তারিখ পর্যন্ত টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন দ্বীপের মধ্যবর্তী সমুদ্র প্রচণ্ড উত্তাল থাকার আশঙ্কা করা যাচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



